হোম > জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা করার দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বে ১৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। সংস্থাটির তথ্য মতে বলছে, হতাহতদের ৬৭ শতাংশই ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা। আর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত জিডিপির ক্ষতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। 

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে  যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। অন্যদিকে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। এ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জন মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সড়কে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ আহত হচ্ছে। আর প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে ১২ হাজারের বেশি ১৭ বছরের কম বয়সী শিশু। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ২২০ জন প্রতিবন্ধী হচ্ছে কেবল সড়ক দুর্ঘটনায়। 

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারপ্রতি ১০ লাখ, আহত রোগীকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির অন্যান্য দাবি হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের জানাতে এই তহবিলে আবেদনের বিষয়ে থানা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা; গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুর্ঘটনায় মামলার ক্ষেত্রে স্পটে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া; সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন জমাদানের সময়সীমা দুর্ঘটনার তারিখ থেকে এক মাসের পরিবর্তে ন্যূনতম এক বছরের মধ্যে আবেদন করার সুযোগ রাখা; তহবিলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, মালিক শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবমুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া; সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা তহবিলে বাস মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং সিসি ক্যামেরা পদ্ধতিতে ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন সিস্টেম চালু করা। চালক ও মালিকের ব্যাংক হিসাব থেকে অটো জরিমানা আদায়ের পদ্ধতি চালু করা। 

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার থাকলেও সড়ক নিরাপত্তায় দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে রোড সেফটি ইউনিট গঠিত হলেও মূলত তারা টিভি মিডিয়ায় কথা বলা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে না।’

তিনি বলেন, দেশের কর্মক্ষম ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তি এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আর্থসামাজিক ক্ষতি হচ্ছে। বুয়েটের এআরআইয়ের হিসাব বলছে, গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এমন ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম. মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মহসিন।

আজ শুভ বড়দিন

পদত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী

জুলাই অভ্যুত্থানে চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের রায় ২০ জানুয়ারি

বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

তারেক রহমানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সরকার: প্রেস সচিব

ইন্টারনেট সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না—বিটিআরসি পাচ্ছে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন

নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে: প্রেস সচিব

পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠির বিষয়ে জানেন না প্রেস সচিব

পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধনের সময় বাড়ল

ওসমান হাদি ও দীপু চন্দ্র হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে: প্রেস সচিব