এবারের বিজয় দিবসে সবাইকে শপথ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া যাবে। আর সারা দেশে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন সবাই।
এসব তথ্য জানিয়ে সব সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন পাঠাবে বলে সেখানে জানানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর ৪টা ১০ মিনিটে বক্তব্য দেবেন তিনি। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে যারা সশরীরে অংশ নেবেন তাদের সবার হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এসে যারা শপথ নেবেন তাদের হাতেও জাতীয় পতাকা থাকবে। এর বাইরে সারা দেশে সরকারিভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে যারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করবেন তাদেরকেও জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশের সব মানুষকে শপথ করাবেন বলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আগেই জানিয়েছেন।
মহাবিজয়ের মহানায়ক শিরোনামে আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন।