হোম > জীবনধারা > সাজসজ্জা

দশমীতে ধুতি-পাঞ্জাবির মেলবন্ধন

ফিচার ডেস্ক

তনয়। ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

পুরো বিশ্বেই ফ্যাশনের ধারা যেমন বইছে, তাতে বলা যায়—ক্যাজুয়াল হোক বা পার্টিওয়্যার, যেকোনো পোশাকে আরামটাই যেন শুরু ও শেষ কথা। মানে এমন একটা পোশাক, যা পরে আপনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে-ফিরতে পারবেন, আবার সে পোশাকটি আপনাকে দিনভর আরামেও রাখবে। উৎসব বা অনুষ্ঠানেও আজকাল তরুণেরা এই নীতি মেনে চলছেন। কোনো পোশাক হয়তো দেখতে দারুণ, কিন্তু ঠিকঠাক মানাচ্ছে না বা ক্যারি করতে অসুবিধা হচ্ছে—এমন পোশাক না পরাকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন আজকালকার স্মার্ট তরুণেরা।

পূজায় ফেস্টিভওয়‍্যার বলতে ধুতি-পাঞ্জাবিই তো পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল এতকাল। আজও কি তাই নয়? ট্রেন্ডি বিভিন্ন রকমের পোশাক তো সব সময় পরাই হয়, পূজায় একটু সাবেকি পোশাক না পরলে চলে? পূজায় অন্তত এক দিন অর্থাৎ দশমীতে না হয় সাবেকি স্টাইলের পাঞ্জাবির সঙ্গে রঙিন বা সাদা ধুতিতেই নিজের লুকটা উদ্‌যাপন করলেন! কিন্তু ওই যে, শুরুতে যে আরাম ও পোশাক ক্যারি করার কথা হচ্ছিল, তার রেশ ধরেই বলা যায়, এ সময়ের তরুণেরা ঝামেলা এড়িয়ে খুব সুন্দর করে পরতে পারেন, তাই এখন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস রেডি টু ওয়্যার ধুতি তৈরি করছে। অর্থাৎ খুব করে কুচি ফেলে ইউটিউব টিউটরিয়াল দেখে আর ধুতি পরতে হবে না। চলতি ঘরানার এসব ধুতির কোমরে থাকছে ইলাস্টিক। ফলে পাজামার মতোই সহজে পরে ফেলা যাবে।

তনয়। ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

দশমীর দিন বাড়ির অধিকাংশ নারীই যেমন টুকটুকে লাল বা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরেন, তেমনি পুরুষের পছন্দের পরিধেয়ের তালিকায় থাকে ধুতি-পাঞ্জাবি। যদিও পূজা উপলক্ষে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষদেরই বেশির ভাগ সময় ধুতি পরতে দেখা যায়। তবে চলতি হাওয়ায় আধুনিক স্টাইলে ধুতির নকশা হচ্ছে বলে এখন অনেক তরুণই বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য ধুতিকে সাদরে নিচ্ছেন।

ধুতি-পাঞ্জাবির নকশা নিয়ে নানা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের কিছু কিছু ফ্যাশন হাউস। পাঞ্জাবি ও ধুতির কম্বো সেটও পাওয়া যাচ্ছে এখন।

রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস জানান, ‘আগে পুরুষের রোজকার পরিধেয় ছিল ধুতি। কিন্তু এখন তো বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া ধুতি পরার চল নেই বললেই চলে। এ সময়ের অনেকে আসলে গুছিয়ে ধুতি পরতেও পারেন না। ফলে আমরা ব্যবহারের সুবিধার্থে এবার পূজা উপলক্ষে রেডিমেড কিছু ধুতি ডিজাইন করেছি। এগুলো প্যান্টের মতো সহজেই পরে ফেলা যায়। নিরীক্ষার মাধ্য়মে আমরা ধুতির প্যাটার্নেও কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি।’

তনয়। ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

মূলত সুতির ওপরই কাজ করেছে রঙ বাংলাদেশ। তবে যেহেতু উৎসবের পরিধেয়, ফলে একটু জমকালো লুক আনতে ধুপিয়ান কাপড়ও ব্যবহার করা হয়েছে। এসব কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট ও সেলাই করে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া রঙ বাংলাদেশে ছোট-বড় সবার জন্য ম্যাচিং ধুতি-পাঞ্জাবির সেটও রয়েছে বলে জানান সৌমিক দাস।

কেনাকাটা

রঙ বাংলাদেশ ছাড়াও আড়ং, কে ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, বিশ্বরঙসহ বেশ কয়েকটি ফ্যাশন হাউসে রেডিমেড ধুতি পাওয়া যায়। এ ছাড়া রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার ও মালিবাগ এলাকায় পাওয়া যাবে খোলা ও রেডিমেড দুই ধরনের ধুতিই।

দরদাম

নকশা ও কাপড়ভেদে ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্য়ে ধুতি পাওয়া যায়। তবে খোলা ধুতির দাম রেডিমেড ধুতির তুলনায় কিছুটা কম।

ফিরে ফিরে আসে ষাটের দশকের মেকআপ

রাশি মেনে লিপস্টিক পরছেন তো?

এই শীতে চুলের সেরা ৫ রং

আটপৌরে লাল-সাদায় পূজার আনন্দসাজ

‘শাড়ির পোকা’ স্বস্তিকার মতো পূজায় সাজুন শাড়িতে

৫ ধাপে শাড়ি পরা সহজ হবে উৎসবে

‘প্রিন্ট আগের থেকে অনেক শক্তিশালী’, নতুন ম্যাগাজিন আনলেন ভোগের সাবেক সম্পাদক

পূজার সাজপোশাক

পূজার আগেই নিখুঁত ত্বক পেতে যত্ন নিন এখন থেকে

ঘরের একঘেয়েমি দূর হবে এই কয়েকটি উপায়ে