হোম > চাকরি > ক্যারিয়ার পরামর্শ

৪৭তম বিসিএস: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ও পরীক্ষার হলে করণীয়

সাইফুল ইসলাম

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় সফলতার জন্য শেষ মুহূর্তের কিছু সঠিক প্রস্তুতি ও কৌশল আপনাকে এগিয়ে রাখতে পারে। পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএসের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সাইফুল ইসলাম

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

১. সব বিষয় জানতে হবে, এমন মানসিকতা পরিহার করুন।

২. নতুন কোনো টপিক শুরু করার দরকার নেই; বরং আগে পড়া বিষয়গুলোই রিভিশন দিন।

৩. শেষ সময়ে এসে যাঁদের মনে হচ্ছে, কিছুই মনে নেই, তাঁরা সিলেবাস থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক বেছে নিয়ে রিভিশন করুন।

৪. আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। মনে করুন, আপনার প্রস্তুতিই পাস করার জন্য যথেষ্ট।

৫. নতুন কিছু পড়তে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় চাপ নেবেন না।

৬. সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে অযথা চিন্তা করবেন না। ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ইউটিউবে কিছু ভিডিও টিউটরিয়াল পাবেন। সেখানে ৩০-৪০ মিনিট সময় দিন। এতে আপনার প্রস্তুতি হয়ে যাবে।

৭. মডেল টেস্ট নিয়ে হতাশ বা অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। এগুলো শুধুই অনুশীলন।

৮. পূর্ববর্তী বিসিএস ও চাকরির প্রশ্নব্যাংক থেকে ব্যাখ্যাসহ রিভিশন করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং অনেক প্রশ্ন কমনও পাবেন।

৯. ‘কিছুই মনে নেই’ অনুভূতিটি স্বাভাবিক। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে ঠান্ডা মাথায় পড়াশোনা চালিয়ে যান।

১০. প্রতিদিন গণিত ও মানসিক দক্ষতার অনুশীলনে কিছু সময় দিন।

১১. পরীক্ষার আগের দিন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

সাইফুল ইসলাম

পরীক্ষার হলে করণীয় ও বর্জনীয়

১. ওএমআর শিটের তথ্য সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করুন।

২. উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট করার আগে প্রতিটি অপশন ভালোভাবে পড়ুন।

৩. সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে—এমন চাপ নেবেন না। যা পারেন, সেটাই উত্তর দিন।

  • ক খ
  • গ ঘ নাকি
  • ক গ
  • খ ঘ

৪. প্রশ্ন কঠিন হলে মাথা ঠান্ডা রাখুন।

৫. ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় রিজার্ভ রেখে বাকিটা কাজে লাগান। প্রথমে সহজ প্রশ্ন শেষ করুন, পরে কঠিনগুলোতে ফিরুন।

৬. প্রশ্ন বোঝাও পরীক্ষার অংশ, তাই ধৈর্য ধরে পড়ুন।

৭. বিতর্কিত প্রশ্ন এড়িয়ে চলা ভালো।

৮. ১৭০-১৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে, এমন চিন্তা বাদ দিন। কারণ, এতে পরীক্ষার হলে আপনার মানসিক চাপ তৈরি হবে। মানসম্মত উত্তর দেওয়ার দিকেই লক্ষ রাখুন।

৯. গণিত ও মানসিক দক্ষতার জন্য আলাদা সময় রাখুন। বাকি অংশ (বাংলা/ইংরেজি/সাধারণ জ্ঞান) দিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে উত্তর দেওয়ার সময় প্রশ্নের সিরিয়াল ঠিক রাখুন।

১০. টানা কয়েকটি প্রশ্ন না পারলেও আতঙ্কিত না হয়ে পরের প্রশ্নে যান।

১১. নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশে বাড়তি সতর্ক থাকুন। এখানেই অনেকের নেগেটিভ মার্কিং হয়।

১২. প্রশ্নপত্রেই রাফ কাজ করতে পারবেন।

১৩. মনে রাখবেন, কিছু সংখ্যক প্রার্থী যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আসেন। কিন্তু অনেকে ফেল করেন মূলত দুই কারণে:

  • মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারা
  • সময় ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা

ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও নিয়মিত অনুশীলনই সফলতার মূল চাবিকাঠি। সবার জন্য রইল শুভকামনা।

গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

যেমন হবে বার কাউন্সিল প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

ক্যারিয়ারে অগ্রগতির বড় শক্তি নেটওয়ার্কিং

মেডিকেল ভর্তি: প্রস্তুতির সঠিক কৌশল

চাকরিপ্রার্থীদের শেখার আগ্রহ থাকতে হবে

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরুর ৫ ধাপ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও বিসিএস দিলেন?

আইনে পড়ার ভবিষ্যৎ

প্রথমবার টিম লিডার হলে যেভাবে সহকর্মীদের সামলাবেন

বিসিএসের নমুনা ভাইভা: সিভিল সার্ভেন্ট কারা?

সঞ্চয়ের জাপানি পথ ‘কাকেবো’ পদ্ধতি