হোম > চাকরি > ক্যারিয়ার পরামর্শ

স্মার্টরা যেভাবে ইন্টারভিউ জয় করেন

শিক্ষা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেই অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন চাকরির প্রতিযোগিতায়। লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার পরও দেখা যায়, অনেকে পিছিয়ে পড়ছেন ইন্টারভিউয়ে। অথচ চূড়ান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, এখানেই একজন প্রার্থী নিজেকে বোঝানোর সুযোগ পান।

সরাসরি প্রতিযোগিতামূলক এই ধাপে সফল হতে হলে প্রয়োজন কৌশলী প্রস্তুতি এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। হার্ভার্ডের ক্যারিয়ার কোচ কাইল এলিয়টের মতে, ইন্টারভিউ শুধু প্রশ্ন-উত্তরের খেলা নয়, বরং এটি একধরনের পারফরম্যান্স। তাঁর কিছু কৌশল নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।

পদটি সম্পর্কে জানুন গভীরভাবে

ইন্টারভিউর শুরুতে বোঝা যায়, আপনি কতটা আগ্রহী এবং প্রস্তুত। তাই যে পদের জন্য আবেদন করেছেন, সেটির দায়িত্ব, প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখুন।

আপনি নিজেই একটি তিন কলামের তালিকা বানিয়ে নিতে পারেন:

  • পদের দায়িত্ব ও স্কিল
  • আপনার অভিজ্ঞতা (যদি থাকে)
  • সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনি কী শিখেছেন

তৈরি করুন নিজের এলিভেটর পিচ

ইন্টারভিউর সময় একটি প্রশ্ন প্রায়ই আসে, ‘আমাদের একটু নিজের সম্পর্কে বলুন।’ এখানে অনেকে গড়গড় করে জীবনী পড়ে শোনান। অথচ এখানেই আপনাকে আলাদা হতে হবে। কাইল এলিয়ট বলছেন, এর জন্য দরকার একটি কার্যকর এলিভেটর পিচ।

এলিভেটর পিচ হলো এমন এক উপস্থাপন কৌশল, যেখানে মাত্র ৬০-৯০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি নিজের পরিচয়, অভিজ্ঞতা, লক্ষ্য ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরবেন রিক্রুটারের সামনে। এটি যেন আপনার একটি ব্র্যান্ড স্টেটমেন্ট। একটি কার্যকর এলিভেটর পিচে থাকবে—

একটি ছোট, অর্থবহ গল্প—যেটা দিয়ে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছে

  • কেন এই পদের প্রতি আগ্রহী হলেন
  • আগের অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখেছেন
  • এই প্রতিষ্ঠানে আপনি কী অবদান রাখতে চান

প্রশ্নের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিন

ইন্টারভিউ কেবল প্রতিষ্ঠান আপনার সম্পর্কে জানবে এমন জায়গা নয়, বরং আপনাকেও প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে। আবার নিয়োগদাতা পক্ষ থেকেও কিছু ‘ভবিষ্যৎমূলক’ ও আত্মমূল্যায়নভিত্তিক প্রশ্ন করা হয়, যেগুলোর জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি থাকা জরুরি।

সাধারণত যেসব প্রশ্ন আসতে পারে

  • আপনার আগের কাজ বা ইন্টার্নশিপের সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা কী ছিল
  • আপনি কীভাবে নিজের সফলতা পরিমাপ করেন
  • ভবিষ্যতের জন্য আপনার লক্ষ্য কী
  • কোনো চাপে পড়লে আপনি কীভাবে সামলান
  • এই পদের জন্য আপনাকেই কেন নির্বাচন করা উচিত বলে মনে করেন

এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় সততা ও আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ভুলে গেলে চলবে না, শুধু সঠিক উত্তর নয়, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, অভিব্যক্তি এবং গলার টোনও নিয়োগদাতার ওপর প্রভাব ফেলে।

স্মার্ট প্রার্থীদের জন্য কিছু পরামর্শ

  • সাজগোজে সাবলীলতা: পোশাক হোক পদের উপযোগী, তবে নিজের আত্মপরিচয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।
  • সময়ানুবর্তিতা: ইন্টারভিউর ১০-১৫ মিনিট আগে উপস্থিত থাকাই শ্রেয়।
  • ভদ্রতা ও কৃতজ্ঞতা: ইন্টারভিউ শেষে বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। চাইলে একটি সংক্ষিপ্ত ধন্যবাদ ই-মেইলও পাঠাতে পারেন।
  • স্মার্ট বডি ল্যাঙ্গুয়েজ: চোখে চোখ রেখে কথা বলা, হালকা হাসি, সোজা বসে থাকা ইত্যাদি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
  • অনুশীলন, অনুশীলন, অনুশীলন: বন্ধু বা পরিবারের সামনে বারবার মক ইন্টারভিউ অনুশীলন করুন। প্রতিবারেই আপনি উন্নতি করবেন।

চাকরির ইন্টারভিউ মানেই ভয় পাওয়ার বিষয় নয়; বরং এটি নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করার অন্যতম বড় সুযোগ। কিছুটা প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং ইতিবাচক মনোভাব থাকলেই ইন্টারভিউর মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে আপনার স্বপ্নের চাকরিতে পা রাখার সিঁড়ি।

সূত্র: ফোর্বস

পড়াশোনার পাশাপাশি জাপানে চাকরির সুযোগ

যেমন হবে বার কাউন্সিল প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

ক্যারিয়ারে অগ্রগতির বড় শক্তি নেটওয়ার্কিং

মেডিকেল ভর্তি: প্রস্তুতির সঠিক কৌশল

চাকরিপ্রার্থীদের শেখার আগ্রহ থাকতে হবে

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরুর ৫ ধাপ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও বিসিএস দিলেন?

আইনে পড়ার ভবিষ্যৎ

প্রথমবার টিম লিডার হলে যেভাবে সহকর্মীদের সামলাবেন

বিসিএসের নমুনা ভাইভা: সিভিল সার্ভেন্ট কারা?