হোম > চাকরি > ক্যারিয়ার পরামর্শ

ইন্টারভিউয়ে না গেলে জানানোটা শিষ্টাচার

শিক্ষা ডেস্ক

ছবি: এআই জেনারেটেড

দেশের চাকরির বাজার যেমন প্রতিযোগিতামূলক, তেমনি প্রতিটি নিয়োগপ্রক্রিয়ার পেছনে থাকে প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবান সময়, শ্রম ও পরিকল্পনা। যখন কোনো প্রার্থীকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়, সেটা শুধু একটি সাক্ষাৎকারের সুযোগই নয়, বরং প্রতিষ্ঠান তাঁর প্রতি একধরনের আস্থা প্রকাশ করে। এটিকে প্রার্থী হিসেবে সম্মান ও সম্ভাবনার দৃষ্টিতে দেখা উচিত।

না যাওয়া স্বাভাবিক, জানানোটা শিষ্টাচার

অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা বা জরুরি প্রয়োজনে ইন্টারভিউয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এটা একেবারেই মানবিক ও গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তা না জানিয়ে ইন্টারভিউ মিস করা কিংবা প্রতিষ্ঠানকে অপেক্ষায় রেখে অনুপস্থিত থাকা, ভবিষ্যতে আপনার পেশাগত ইমেজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ নিয়োগ বোর্ড একজন প্রার্থীকে শুধু রিজিউমি দেখে নয়, বরং তাঁর সময়নিষ্ঠতা, যোগাযোগরীতি এবং দায়িত্ববোধের আলোকে বিবেচনা করে।

নীরব থাকা অপেশাদার আচরণ

ইন্টারভিউয়ে না যাওয়া প্রার্থীর সিদ্ধান্ত, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে, নীরব থেকে সময় নষ্ট করিয়ে দেওয়া নিছক অশ্রদ্ধা নয়, বরং পেশাদার দায়িত্ববোধের অভাব। নিয়োগকারীদের সময় মূল্যবান; তাঁরা আপনার জন্য সময় রেখেছেন, প্রস্তুতি নিয়েছেন। আপনার যেতে না পারার বিষয়টি না জানালে, তা শুধু এক দিনের সাক্ষাৎকার নয়, সম্ভাব্য একটি পেশাগত সম্পর্কেরও অবমূল্যায়ন।

একটি বার্তাই গড়ে তুলতে পারে ইমেজ

যদি আপনি ইন্টারভিউয়ে যেতে না পারেন, তাহলে ভাবুন তো মাত্র একটি এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠাতে কতটুকু সময় লাগে? যেমন ‘দুঃখিত, পারিবারিক বা স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে আমি সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হতে পারছি না। সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ এই ছোট্ট বার্তা আপনার পেশাদারত্ব, সৌজন্যবোধ ও দায়িত্বশীলতা প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। ভবিষ্যতে যদি ওই প্রতিষ্ঠানে আরেকটি সুযোগ আসে, তখন তারা আপনাকে স্মরণ করবে একজন শিষ্টাচারসম্পন্ন প্রার্থী হিসেবে।

সৌজন্যতা একটি পেশাগত বিনিয়োগ

যখন আপনি একটি সাধারণ মেসেজ পাঠিয়ে ইন্টারভিউ বাতিলের কথা জানাবেন, তখন তা শুধু ভদ্রতাই দেখানো হবে না, বরং আপনি নিজের পেশাগত ভবিষ্যতের জন্য একটি ক্ষুদ্র কিন্তু কার্যকর বিনিয়োগ করে রাখলেন। সৌজন্যতা কখনো ছোট বিষয় নয়, এটি অনেক দূর পর্যন্ত আপনার প্রতিনিধিত্ব করে।

যোগাযোগের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে পরিচয়

আচরণই মানুষের পরিচয়, এই প্রবাদ কর্মজীবনেও সমানভাবে প্রযোজ্য। একজন প্রার্থীর পরিচয় তাঁর ডিগ্রি নয়, তাঁর যোগাযোগ ও দায়িত্ববোধ। যখন আপনি নিজে থেকে ইন্টারভিউ বাদ করেন এবং জানান, তখন আপনি নিয়োগকারীর চোখে পেশাদার এবং মানবিক উভয় হিসেবে প্রতিভাত হন। আর যাঁরা তা করেন না, তারা অনেক সময় অযোগ্য না হয়েও বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গা হারিয়ে ফেলেন।

একবারের অভদ্রতা হতে পারে স্থায়ী ছাপ

আমরা অনেক সময় ভাবি, ‘নাই-বা গেলাম, তাতে কী?’ কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউতে অনুপস্থিতির রেকর্ড রাখা হয়। বিশেষ করে করপোরেট বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়গুলো ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনি দক্ষ বা যোগ্য হয়েও শুধু শিষ্টাচারের অভাবে তালিকা থেকে ছিটকে যেতে পারেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট প্রার্থীর কারণে অনেক সময় দেখা যায়, তিনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছেন, ওই প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিয়োগকর্তার একটা নেতিবাচক ভাবনা তৈরি হয়।

পেশাদার আচরণের শুরু হোক এখান থেকেই

চাকরি মানেই শুধু দক্ষতা নয়, বরং দায়িত্ববোধ, সম্মান ও পেশাদারত্বের সম্মিলিত রূপ। ইন্টারভিউর মতো একটি ছোট্ট বিষয় থেকেও একজন মানুষের আচরণ সম্পর্কে অনেক কিছু বোঝা যায়। একজন প্রার্থী ইন্টারভিউ বাতিল করতেই পারেন, কিন্তু সম্পর্কটি নয়। আর এই সম্পর্ক রক্ষার প্রথম ধাপই হলো ভদ্রভাবে ‘না’ বলা।

সূত্র: লিংকডইন ও ইনডেড

নতুন আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ৪ দক্ষতা

পড়াশোনার পাশাপাশি জাপানে চাকরির সুযোগ

যেমন হবে বার কাউন্সিল প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

ক্যারিয়ারে অগ্রগতির বড় শক্তি নেটওয়ার্কিং

মেডিকেল ভর্তি: প্রস্তুতির সঠিক কৌশল

চাকরিপ্রার্থীদের শেখার আগ্রহ থাকতে হবে

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরুর ৫ ধাপ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও বিসিএস দিলেন?

আইনে পড়ার ভবিষ্যৎ

প্রথমবার টিম লিডার হলে যেভাবে সহকর্মীদের সামলাবেন