হোম > চাকরি > ক্যারিয়ার পরামর্শ

উদ্যোক্তাদের কেন ইংরেজি শেখা উচিত

একজন উদ্যোক্তা যখন বিশ্বমানের ব্র্যান্ড বানাতে চান, তখন তাঁকে ভাবতে হয় ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ই-মেইল কমিউনিকেশন, বিজ্ঞাপন, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়েও। কারণ, সবখানেই ইংরেজির উপস্থিতি স্পষ্ট। এই ভাষাজ্ঞান কীভাবে একজন উদ্যোক্তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, পেশাগত পরিসর খুলে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ব্যবসার সফলতায় ভূমিকা রাখে, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন ইংরেজি শেখার প্রতিষ্ঠান ‘ইংলিশ থেরাপি’-এর প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম

মো. আশিকুর রহমান

ভাষার সাবলীলতা তৈরি করে

একজন উদ্যোক্তার পক্ষে নিজের ভাবনা ও পণ্যের ধারণা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাহলে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে বহুগুণ। উদ্যোক্তাদের প্রায়ই বিভিন্ন মানুষ, সংস্থা কিংবা বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলতে হয়। সেখানে যদি আপনি সাবলীল ইংরেজিতে নিজের কথা তুলে ধরতে পারেন, তখন আপনার আইডিয়া, প্রেজেন্টেশন ও নিজেকে উপস্থাপন করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।

বিশ্বজুড়ে শেখার দিগন্তে প্রবেশ

উদ্যোক্তারা সব সময় নতুন কিছু শিখতে চান। আর সেই শেখার দুনিয়াটা আজ ইন্টারনেটেই বিস্তৃত। বহির্বিশ্বের আপনি যে বই পড়তে চান, যে পডকাস্ট শুনতে চান বা যে মেন্টরের ভিডিও দেখেন—প্রায় সবকিছুরই ভাষা ইংরেজি। একটা আন্তর্জাতিক কোর্স, মেন্টরশিপ কিংবা গ্লোবাল বিজনেস প্ল্যাটফর্ম—সবখানেই ইংরেজি আপনাকে এগিয়ে রাখবে। উদ্যোক্তাদের তাই শেখার জন্যই ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া জরুরি।

আন্তর্জালে যুক্ত হওয়ার প্রথম সোপান

বহুজাতিক সংস্থা, বিদেশি ক্লায়েন্ট, কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে গেলে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ইংরেজি। চুক্তিপত্র, মেইল, ভার্চুয়াল সভা কিংবা প্রযুক্তিগত নির্দেশনা—সব জায়গাতেই ইংরেজি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আপনার উদ্যোগকে যদি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে চান, তাহলে ইংরেজি আপনার প্রথম সহযাত্রী।

নিয়মিত চর্চা ও অধ্যবসায়

ইংরেজি শেখার যাত্রায় শুরুটা যত সহজই হোক না কেন, টিকে থাকতে হলে চাই নিয়মিত চর্চা, অধ্যবসায় ও মনোযোগ। প্রতিদিন যদি অল্প সময়ও শেখার পেছনে ব্যয় করেন, তাহলে একসময় তা বড় অর্জনে রূপ নেয়। ইংরেজি শেখা অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।

নতুন আয়ের পথ খুলে দেয় ভাষাজ্ঞান

একজন উদ্যোক্তার জন্য আয়ের পথ শুধু পণ্য বা সেবা নয়—বিশ্বব্যাপী নিজেকে তুলে ধরার সামর্থ্যও একটি বড় সম্পদ। ইংরেজি জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ভাষা জানার মাধ্যমে আপনি শুধু শিখতে নয়, শেখাতেও পারেন। সেখান থেকেই জন্ম নেয় নতুন সম্ভাবনা ও আয়।

উদ্যোক্তা হওয়া মানে নিজের ভেতর প্রতিনিয়ত রূপান্তর ঘটানো। এই রূপান্তরের বড় উপাদান হলো শেখার মানসিকতা। আর শেখার দুয়ার খুলে দেয় ভাষাজ্ঞান—বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা। শেখা কখনো বন্ধ করা যাবে না। ইংরেজি জানলে আপনি শুধু দেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন। তাই উদ্যোক্তা হোন কিংবা হওয়ার স্বপ্ন দেখুন—নিজেকে তৈরি করুন এমনভাবে, যাতে ভাষা সীমাবদ্ধতা না হয়ে দাঁড়ায়; বরং ভাষাকে গড়ে তুলেন আপনার অগ্রগতির সোপান হিসেবে।

অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

যেমন হবে বার কাউন্সিল প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

ক্যারিয়ারে অগ্রগতির বড় শক্তি নেটওয়ার্কিং

মেডিকেল ভর্তি: প্রস্তুতির সঠিক কৌশল

চাকরিপ্রার্থীদের শেখার আগ্রহ থাকতে হবে

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরুর ৫ ধাপ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও বিসিএস দিলেন?

আইনে পড়ার ভবিষ্যৎ

প্রথমবার টিম লিডার হলে যেভাবে সহকর্মীদের সামলাবেন

বিসিএসের নমুনা ভাইভা: সিভিল সার্ভেন্ট কারা?

সঞ্চয়ের জাপানি পথ ‘কাকেবো’ পদ্ধতি