আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অনন্য ইবাদত কোরবানি। ইসলামের দেওয়া বেশ কিছু নিয়ম মেনে কোরবানি করতে হয়—অন্যথায় কোরবানি আদায় হয় না। আবার যারা কোরবানি করবেন, তাদের সম্পদ ও নিয়তের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা থাকতে হয়। কোরবানির পশু জবাই করতে হয় একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামে।
কোরবানির পশু জবাই করার সময় পড়তে হয় বিশেষ দোয়া। পশু জবাইয়ের আগে পড়তে হয়—
‘ইন্নি ওয়াজজাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ্ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা-শারিকালাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।’
অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমি সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম—যিনি আসমান-জমিনের স্রষ্টা। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, কোরবানি, জীবন-মরণ—সবই আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আমি মুসলমানদের একজন। হে আল্লাহ, তোমার পক্ষ থেকে, তোমার জন্য। আল্লাহর নামে, তিনি সবচেয়ে মহান।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৮৬, সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২১)
তবে শুধু এটা বলেও জবাই করা যাবে—‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।’ অর্থ: ‘মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’
মনে রাখার বিষয় হলো, এসব দোয়ার মধ্যে কোরবানির সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলা উত্তম। এর অতিরিক্ত যে কথাগুলো আছে—সেগুলো বলা মোস্তাহাব।