জীবিত সন্তানের জন্য আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুআক্কাদাহ বলেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাতি হাসান ও হোসাইনের পক্ষ থেকে দুটি করে বকরি জবেহ করেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আকিকা মূলত জীবিত সন্তানের জন্য করা মোস্তাহাব। আকিকা করার আগে সন্তান মারা গেলে এর তেমন গুরুত্ব থাকে না। অবশ্য কোনো কোনো ইসলামবিষয়ক গবেষক মৃত সন্তানের জন্য আকিকা করার কথাও বলেছেন।
তাই কেউ চাইলে মৃত সন্তানের আকিকা করতে পারবে। তবে সন্তান মারা যাওয়ার পর তার আকিকার বিষয়টি ততটা গুরুত্ব থাকে না। (আল-মাজমু: ৮/৪১২, আল-মওসুআতুল ফিকহিইয়াহ: ৩০/২৭৭, ফাতাওয়া রহিমিয়া: ১০/৬২)
সন্তান জন্ম নেওয়ার সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। তবে সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে ১৪তম দিন বা ২১তম দিন আকিকা করা সুন্নত।
হজরত বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সপ্তম দিন বা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর।’ (জামে তিরমিজি)
আকিকা ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি করা সুন্নত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ও কন্যাসন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (জামে তিরমিজি)
উল্লেখ্য, আকিকার গোশত শিশুর মা-বাবাসহ সবাই খেতে পারবেন। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
আকিকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে, সে টাকা সদকা করে দিতে হবে। মাংস বিক্রি করা যাবে না। বরং মাংস খাবেন, সদকা করবেন ও যাকে ইচ্ছা উপহার হিসেবে দেবেন।
আরও খবর পড়ুন: