চীনা নজরদারি বেলুন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এটি বিশ্বের পাঁচ মহাদেশ জুড়ে চীনের নজরদারি কার্যক্রমের অংশ। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বৃহৎ কর্মসূচির একমাত্র টার্গেট যুক্তরাষ্ট্র নয়। বেলুনের ধ্বংসাবশেষ ঘেঁটে পাওয়া তথ্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বলেও জানান ব্লিঙ্কেন।
বুধবারের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে একই ধরনের বেলুনের সহায়তায় উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে নজরদারিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই নজরদারি বেলুনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সামরিক তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনা বেলুনটি ২০০ ফুট বা ৬০ মিটার লম্বা। এটি ওজনেও বেশ ভারী ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের নজরদারি বেলুনের টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রয়েছে জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও ফিলিপাইন। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। অন্তত ৪০টি দেশকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বেলুনটি ধ্বংস করার কয়েক ঘণ্টা পরে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, বেলুনটি বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল এবং এটি ভুল পথে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রবেশ করেছিল। এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়।