দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার পিটিআই নেতা ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্য আদালতে হাজির করতে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি) নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ইমরানের আপিল শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বে বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক ক্রিকেটারের আপিল শুনানির এই বেঞ্চে আরও রয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আলি মাজহার ও বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ।
বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালত এ বিষয়ে পরে যথাযথ আদেশ জারি করবে।’
এর আগে ৯ মে এনএবি আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যের পাঠানো ৫০ বিলিয়ন রুপি কালোটাকা সাদা করতে ৫ বিলিয়ন রুপি ঘুষ নিয়েছিলেন।
এর পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ইমরান-সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আটজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯০ জন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারীকে।
পাকিস্তানের ডন নিউজ টিভির তথ্যমতে, সুপ্রিম কোর্টের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রেঞ্জার্স, পুলিশ এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াডকে ডাকা হয়েছে। আদালতের শুনানি কক্ষে শুধু আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
আজকের শুনানি
শুনানির শুরুতে ইমরানের কৌঁসুলি হামিদ খান সুপ্রিম কোর্টকে জানান, তাঁর মক্কেল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) গ্রেপ্তারের আগে জামিনের জন্য আবেদন করেছেন।
ইমরানের আইনজীবী বলেন, বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে আপিল করা যায় না। ইমরানকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তখন তিনি বায়োমেট্রিক্স টেস্ট করছিলেন। এ সময় রেঞ্জার্স বাহিনী ইমরান খানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও গ্রেপ্তার করেছে।
প্রধান বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেন মামলাটি শুনানির জন্য উপযুক্ত নয়। এ সময় বিচারক মিনাল্লাহ বলেন, ইমরান আদালত প্রাঙ্গণে এসেছিলেন হাজিরা দিতে। কিন্তু কেন তাঁকে বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো।