পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সাড়ে তিন বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ইমরান খান তাঁর অপসারণের পেছনের ষড়যন্ত্রের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
পাকিস্তানের শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ইমরান খানের অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংযোগের (ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংযোগ) বিষয়বস্তু পর্যালোচনা থেকে প্রাপ্ত মূল্যায়ন এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এনএসসি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে—কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দেশের প্রধান গুপ্তচর সংস্থাগুলো এনএসসিকে জানিয়েছে, তাঁরা কোনো ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে সমর্থন করার কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
তবে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।
এর আগে, ইমরান খান গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ায় গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেদিন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণের সূচনা করেছিল। তার পরপরই পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান খানের পতনের আয়োজন শুরু হয় জোরেশোরে।