পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় দেশটির সাত সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এই হামলায় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার তালেবানকে দায়ী করে দেশটিতে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের বিমান হামলায় তিন শিশু ও পাঁচ নারীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৩টার দিকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে দুটি জায়গায় বিমান হামলা হয়।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র এই বিমান হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এটা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। তিনি বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়া ভালো হবে না। এক পৃথক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, পাকিস্তানি তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছিল। তাদের কাছে গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছিল এবং তার ভিত্তিতেই আক্রমণ করা হয়।
পাকিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবানের সম্পর্ক আছে। ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এপি জানিয়েছে, আফগান তালেবানের গুলিতে পাকিস্তানে চার গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। বাকিদের নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় ৭ সেনা মারা যায়। তাদের জানাজায় যোগ দিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেছেন, ‘এই আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। শহিদ সেনার রক্ত ব্যর্থ হবে না।’
উল্লেখ্য, শনিবারের আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদ। তবে পাকিস্তানের দাবি, এটা মূলত নিষিদ্ধঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপির শাখা সংগঠন।