তোষাখানা বিতর্কে এবার দলীয় পদ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় আজ বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইমরান খানকে সরানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, ইমরান খানকে ‘মিথ্যা বিবৃতি ও ভুল তথ্য ঘোষণার’ অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরই মধ্যে ইমরান খানকে এ ব্যাপারে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে, ইসিপি বিদেশ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির তথ্য গোপন করার অভিযোগ তোলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত অক্টোবরে তাঁকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা ও তাঁর পার্লামেন্টের সদস্যপদ খারিজ করে দেয় ইসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার পিটিআই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইমরানকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হলো।
পিটিআই নেতা ও ইমরান খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইসিপি কেবল নির্বাচনের নিয়ন্ত্রক এবং তাঁরা একজন ব্যক্তিকে দলীয় পদে অধিষ্ঠিত হতে বাধা দিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে, গত অক্টোবরের উপনির্বাচনে সাতটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ইমরান খানকে। এ থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, তিনি দলের প্রধান হওয়ার জন্যও যোগ্য।’ উল্লেখ্য, ইমরান খান সেই সাতটি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন।
আওয়ান আরও বলেছেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে যা ঘটেছে তা ইমরান খানের বেলায় প্রযোজ্য হবে না।’ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা (নওয়াজ) নওয়াজ শরীফকে ‘অসৎ’ বলে ঘোষণা দেন এবং তাঁকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেয়। এর পর নওয়াজ শরীফকে নওয়াজকে দলীয় প্রধানের পর থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়