পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শিরিন মাজারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে ইসলামাবাদ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে।
শিরিন মাজারির মেয়ে ও আইনজীবী ইমান হাজির মাজারি টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাদা পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি সাবেক মানবাধিকার বিষয়কমন্ত্রী শিরিন মাজারিকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে ঢুকছেন।
পরে অন্য এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা শিরিন মাজারিকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বাসভবন থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। গাড়িতে তোলার সময় শিরিন মাজারি বিজয় চিহ্ন দেখান এবং ‘গণতন্ত্রের জয়’ হবে বলেন। একই সঙ্গে তিনি ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা করেন।
ভিডিওটি পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে শিরিন মাজারির মেয়ে টুইটার পোস্টে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী প্রায় ৫০ জন পুলিশ তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেছে।
এদিকে পিটিআই তাদের টুইটারের অফিশিয়াল পেজে জানিয়েছে, পিটিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিল। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
গত মঙ্গলবার (৯ মে) পৃথক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান। হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জারসের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় এনএবি। এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একটি বিশেষ আদালত। পরদিন বুধবার তাঁকে ওই আদালতে নেওয়া হয়।
পরে পিটিআই তাদের চেয়ারম্যানের মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেন এবং তাঁকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন।