ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেন তিনি বলেন এই হামলা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
ইমরান খান সালমান রুশদির ওপর হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘রুশদির বই স্যাটানিক ভার্সেস মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে সত্য কিন্তু এ ক্ষোভ কখনোই তাঁর ওপর কোনো হামলাকে সমর্থন করে না বা হামলার ন্যায্যতা দেয় না।’
বছর দশেক আগে, ভারতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন। কারণ, সেই অনুষ্ঠান সালমান রুশদির যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে ইমরান খান কখনোই সালমান রুশদিও ওপর কোনো ধরনের সহিংস আচরণ সমর্থন করেননি। ইমরান খানের এই মন্তব্য পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ, দেশটির অধিকাংশ নেতাই এই বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।
ইমরান খান বলেন, ‘স্যাটানিক ভার্সেসের কারণে মুসলিম বিশ্বের যে ক্ষোভ তা রুশদি নিজেও বুঝতে পেরেছেন। কারণ, তিনি নিজেও একটি মুসলিম পরিবার থেকেই এসেছেন। তিনি জানেন, আমাদের মনে প্রিয় নবীর জন্য কী পরিমাণ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং সম্মান রয়েছে। তাই মুসলিমদের অন্তরে যে ক্ষোভের আগুন তা আমি বুঝতে পারি কিন্তু রুশদির সঙ্গে যা ঘটেছে তা কোনোভাবেই আপনি ন্যায্য বলে দাবি করতে পারবেন না।’
এদিকে, রুশদিকে হামলাকারী ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতার বলছেন, তিনি ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইয়ের মাত্র কয়েক পাতা পড়েছেন। জেলে থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুশদি ‘ইসলামকে আক্রমণকারী’ বলেও মন্তব্য করেন মাতার।