পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা। সোমবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মাত্র কয়েক মিনিট আগে তাঁরা এই ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার বিকেলে দেশটির জাতীয় পরিষদ ভবনে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় পরিষদ সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক ফারুখ হাবিব এক টুইটে বৈঠক এবং পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেন, ‘আমদানি করা সরকার অস্বীকার করে আমাদের দল জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
দলীয় সিদ্ধান্তের পরপরই পিটিআইয়ের জাতীয় পরিষদ সদস্য মুরাদ সাঈদ পদত্যাগপত্র জমা দেন। পিটিআই থেকে তিনিই সবার আগে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন। কেবল মুরাদ সাঈদ নন, আরও দুই জাতীয় পরিষদ সদস্য হাম্মাদ আজহার, গুল জাফর খান তাঁদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাঁদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেন। সেখানে তাঁরা তাঁদের পদত্যাগপত্রের ছবিও শেয়ার করেন।
এদিকে, পদত্যাগপত্র জাম দেওয়ার পর, ডন নিউজের সঙ্গে আলাপকালে মুরাদ সাঈদ নিশ্চিত করেন—তিনি দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সময় তিনি বিদেশি ষড়যন্ত্র বিষয়ে ইমরান খানের দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘এই বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পরও জাতীয় পরিষদে বসে থাকার মানে নিজেদের এই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে স্বীকার করে নেওয়া।
এ সময় মুরাদ সাঈদ প্রশ্ন রাখেন—বিদেশি শক্তির কি পাকিস্তানে সরকার গঠন বা ভাঙার অধিকার থাকা উচিত?
সাঈদ প্রধানমন্ত্রী পদে বিরোধী দলের প্রার্থী শেহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলে ধরেন। "তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল এবং আছে, " তিনি যোগ করেন।