বিরোধী দলগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানে পরবর্তী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন(ইভিএম) ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। আজ বুধবার এ সংক্রান্ত একটি বিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পাস হয়।
বিলটি পাস হওয়ার পর বিরোধী দলগুলো পাকিস্তানের পার্লামেন্টে হট্টগোল শুরু করে। তারা ইমরান খানকে ভোট চোর বলে স্লোগান দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট করে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে এটি আমাদের সংসদীয় ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিন। আমরা এর নিন্দা জানাই।
ইভিএমের পক্ষে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভোট পড়ে ২২১টি আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২০৩টি।
পাকিস্তান সরকার বেশ কয়েক মাস ধরে পার্লামেন্টে ইভিএম সংক্রান্ত বিল পাস করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই বিল পাস হওয়ায় এখন থেকে প্রবাসী পাকিস্তানিরাও অনলাইনে দিতে পারবেন ভোট। পাকিস্তানে ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রত্যেক নির্বাচনেই পাকিস্তানে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। ইমরান খানের মতে, ইলেক্ট্রনিক ভোট সিস্টেম নির্বাচনে আরও স্বচ্ছতা আনবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইমরান খানের আরেকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পাকিস্তান সরকার একটি দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নতুন প্রধান নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের মতবিরোধ রয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সেনাবাহিনী ভোট কারচুপির মাধ্যমে ২০১৮ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতায় এনেছিল। তবে ইমরান খানের সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।