ভারতের পর এবার আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। গতকাল রোববার পাকিস্তান নৌবাহিনী বলে, সম্প্রতি এ অঞ্চলের সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নৌবাহিনীর ইউটিউব চ্যানেলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় যোগাযোগের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য আমরা আরব সাগরে স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, আমাদের এলাকা দিয়ে পাকিস্তানগামী ও আন্তর্জাতিক পরিবহন জাহাজগুলো রক্ষা করা। এ জন্য যে এলাকা দিয়ে পাকিস্তানগামী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজ যাতায়াত করে সেখানে দু-তিনটি জাহাজ সব সময় পাহারায় থাকে।
‘এ ছাড়া আমাদের সামুদ্রিক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক যোগাযোগের লাইনগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আকাশ থেকে ব্যাপক নজরদারির পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।’
পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের এ সিদ্ধান্ত আসে প্রধান দেশ ভারতের আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ঘোষণা আসার পর। গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভারত জানায়, আরব সাগরে লাইবেরিয়ার জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা একটি নৌ মিশন শুরু করেছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় লাইবেরিয়ার জাহাজটি একটি বার্তা পাঠায়। সে বার্তায় পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীর জাহাজে উঠে পড়ার কথা উল্লেখ ছিল।
এর আগে আরব সাগরে ভারতের পশ্চিম উপকূলে একটি বাণিজ্য জাহাজে হামলা করা হয়।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকির পরই ভারত ও পাকিস্তান এ পদক্ষেপ নেয়।
হুতি বিদ্রোহীরা বলছে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবরোধের মুখে থাকা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোর জন্য এ হামলা চালানো হবে।
লোহিত সাগর তেল ও জ্বালানি পরিবহনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সমুদ্রপথগুলোর একটি।