পাকিস্তানজুড়ে ‘স্বাধীনতা’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। শনিবার (১৩ মে) রাতে ইউটিউবে দেওয়া বক্তব্যে ইমরান বলেন, ‘স্বাধীনতা সহজে আসে না। একে ছিনিয়ে নিতে হবে। এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে’।
সমর্থকদের উদ্দেশে পিটিআই প্রধান বলেন, রোববার সারা দেশের শহর, গ্রাম ও রাস্তায় বিক্ষোভ হবে। আর বুধবার থেকে নির্বাচনের দাবিতে ফের রাস্তায় নামবেন বলেও জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার (৯ মে) পৃথক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান। হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জারসের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। পরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইমরানের সমর্থকেরা সরকারি ভবনে হামলার পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে। এমনকি সামরিক বাহিনীর সম্পত্তির ওপর হামলা চালায়।
কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, ইমরানকে গ্রেপ্তারের জেরে গত সপ্তাহে সহিংসতায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাসহ শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চার হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ২০২২ সালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পরই মঙ্গলবার তাঁকে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনী ৭৫ বছরের ইতিহাসের প্রায় অর্ধেক সময় সরাসরি দেশটিকে শাসন করেছে। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপরও নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে আসছে।
এর আগে সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেছিলেন, তাঁর গ্রেপ্তারের পেছনে একজনই ছিলেন, তিনি সেনাপ্রধান।