কে হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে চলছে জোর কল্পনা-জল্পনা। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) নেতা শেহবাজ শরীফের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে দেশটির সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির নাম। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির পৃথক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে হেরে গিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে দেশটিতে এখন প্রধানমন্ত্রীর পদ ফাঁকা হয়ে গেছে। ফলে দেশটির সংবিধান অনুসারে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, শেহবাজ শরীফ এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিপরীতে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে শাহ মাহমুদ কোরেশির নাম ঘোষণা করা হলেও তিনি এখনো তাঁর মনোনয়ন জমা দেননি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৩৪২টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৭২টি আসনের সমর্থন প্রয়োজন। যা কেবল ইমরান খান বিরোধী শিবিরের কাছেই রয়েছে। অপরদিকে ইমরান খানের দলের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন বা সমর্থন নেই বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। ফলে, এই যাত্রায় শেহবাজ শরীফই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের পরাজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। ইমরান খানের পরাজয়ে জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে ছিল। আবারও আপনাদের পুরোনো পাকিস্তানে আপনাকে স্বাগতম।’ ইমরান খানের নয়া পাকিস্তান গড়ার প্রচারকে কটাক্ষ করে তিনি এ কথা বলেন।