ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সুতা ও চিনি আমদানির সঙ্গে জড়িত মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আজ শনিবার এ ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে পাকিস্তানের ইকোনমিক কোঅরডিনেশন কমিটির (ইসিসি) কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। ইসিসি এসব প্রস্তাবের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করে তাদের পর্যালোচনা জানানোর পর এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সরকার।
ভারত থেকে দুই বছর ধরে সুতা ও চিনি আনছে না পাকিস্তান। পাকিস্তানে নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী হামাদ আজহার ইসিসির কাছে এই আমদানি চালুর প্রস্তাব করার দুই দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত জানাল দেশটির সরকার।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ ২০১৯ সালে বাতিল করে নয়াদিল্লি। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বাণিজ্য বন্ধের এ সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন ইমরান।
প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। চিনি, সুতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানির জন্য তাদের সাশ্রয়ী উৎস খোঁজার নির্দেশনাও দেন তিনি।
তবে ভারত বলছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে তারা শত্রুতা ও সন্ত্রাসমুক্ত সম্পর্ক চায়। তাদের মতে, ‘আলোচনা ও সন্ত্রাস’ একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বানও জানায় নয়াদিল্লি।
‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলকে কেন্দ্র করে এর আগেও বাণিজ্য বন্ধ করেছিল পাকিস্তান। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালের মে মাসে ভারত থেকে ওষুধ আমদানি শুরু করে দেশটি।