পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান ও ইরান। এর মধ্যে ইসলামাবাদ সফরে আসছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সফরের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। যৌথ এক বিবৃতিতে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরতেও বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী ঘাঁটি উল্লেখ করে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। সে সঙ্গে তেহরানে নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকেও ফিরিয়ে আনে দেশটি। এমনকি ইরানের সঙ্গে সব ধরনের উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কও ছিন্ন করে পাকিস্তান। এরপর ১৮ জানুয়ারি ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালায় পাকিস্তান। ইরান এর প্রতিক্রিয়া জানায়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানির আমন্ত্রণে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ২৯ জানুয়ারি পাকিস্তান সফরে আসবেন।’
দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে এ অঞ্চলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ইরান-পাকিস্তানের বিরোধের কারণে বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
তেহরানের দাবি, বেলুচিস্তানের পাঞ্জগুর এলাকায় জইশ আল-আদল নামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। এই হামলায় দুই শিশু নিহত এবং তিন নারী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। এদিকে ইসলামাবাদ বলছে, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী বালুচ লিবারেশন ফ্রন্ট ও বালুচ লিবারেশন আর্মির ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এশিয়ার এ দুই প্রতিবেশী দেশ দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে।