পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একজন নারী। তিনি নিজেও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং পেশায় একজন শিক্ষক। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর পক্ষে তিনি এই হামলা চালান বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩০ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকা কয়েক মাস আগেই মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মঙ্গলবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সামনের ওই আত্মঘাতী বোমা হামলায় একটি মিনিভ্যান বিস্ফোরিত হয়। এ সময়, তিন চীনা শিক্ষক, একজন পাকিস্তানি গাড়িচালক ও হামলাকারী নিজে নিহত হন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানের শিক্ষক ওই নারী ৫ মাস আগে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
এ দিকে, পাকিস্তানে কর্মরত এসব চীনা নাগরিকের মৃত্যুতে হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং।
বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জানিয়েছে, প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রিধারী ওই সন্তানের জননী ওই নারী আরও একটি ডিগ্রির জন্য করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মূলত বেলুচিস্তানে চীনা বিনিয়োগের বিরোধিতা করেই চীনা নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
বিএলএ আরও জানিয়েছে, ‘বেলুচ লিবারেশন আর্মি চীনকে আবারও তাদের শোষণমূলক প্রকল্পগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যাপারে সতর্ক করছে। অন্যথায়, ভবিষ্যতে আরও কঠোর আক্রম হবে।’ বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা তাদের প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের বৃহত্তর অংশ নিজেদের জন্য রক্ষায় কয়েক দশক ধরেই লড়াই করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁরা চীনা বিভিন্ন প্রকল্পের শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।