দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, জনতাকেই ঠিক করতে হবে, তারা স্বাধীনতা, নাকি দাসত্ব চায়?
আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমি দুঃখ পেলেও তা মেনে নিয়েছি।’
ভাষণে ইমরান বলেন, আইনসভার ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা ভোট খারিজ করেছেন সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আইনসভার ডেপুটি স্পিকার কর্তৃক বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বিষয়টি খারিজ করে দেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আইনসভা ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে আইনসভা আবারও পুনর্বহাল হয়েছে। কিন্তু ইমরান খান পুনর্বহাল হয়েছেন বলার কোনো সুযোগ নেই। আদেশ অনুযায়ী আগামীকাল বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে ইমরান খানকে। কেবল অনাস্থা ভোট নয়, পাঞ্জাবের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হওয়ায় আরও একগাদা ঘটনা যে ঘটতে যাচ্ছে, তা এক রকম নিশ্চিত।
এই পরিস্থিতিতেই আজ ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন।
এর আগে বিভিন্ন সময় বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বললেও ইমরান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘পাকিস্তানের আইনসভায় ওঠা অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে বিদেশি প্রভাব রয়েছে। আমি চেয়েছিলাম সুপ্রিম কোর্ট অন্তত এর দিকে একবার তাকাক। কোনো বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি দেশের সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে, এই অভিযোগ ভীষণ গুরুতর। তাই আমি চেয়েছিলাম, অন্তত একটা তদন্ত হোক। সুপ্রিম কোর্ট অন্তত এ সম্পর্কিত নথি চেয়ে পাঠাতে পারতেন। অন্তত খুঁজতে পারতেন যে, আমরা সত্যি বলছি কি-না। আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।’