প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদি। একই সঙ্গে তিনি তার ডেপুটি আলী মোহসেন আল-আহমারকে বরখাস্ত করেছেন। ৮ সদস্যের এই প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন সাবেক মন্ত্রী রাশাদ আল-আলিমি। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদি এ ঘোষণা দেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের দায়িত্ব পাওয়া আল-আলিমির সঙ্গে সৌদি আরব এবং ইয়েমেনের রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এক টেলিভিশন ভাষণে মনসুর হাদি বলেন, ‘আমি অপরিবর্তনীয়ভাবে সংবিধান, উপসাগরীয় উদ্যোগ এবং তাদের নির্বাহী ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমার পূর্ণ ক্ষমতা প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তর করছি।’
মনসুর হাদি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সময়টিতে এই কাউন্সিল ইয়েমেনের রাজনৈতিক, সামরিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সামাল দেবে। গোটা ইয়েমেনে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার জন্য এবং চূড়ান্ত একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য এই কাউন্সিল হুতিদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসবে।’
প্রেসিডেন্ট হাদির এই ঘোষণার পর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইয়েমেনি প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন এবং আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আশা করেন, প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা ইয়েমেনে নতুন অধ্যায় শুরুতে অবদান রাখবে।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘নেতৃত্ব পরিষদ গঠন ইয়েমেনকে যুদ্ধের অবস্থা থেকে শান্তি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবে। ইয়েমেনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি দেখতা চায় সৌদি।’
এছাড়া ইয়েমেনের জনগণের দুর্ভোগ কমাতে এবং তাদের জীবনযাত্রা উন্নতির জন্য ২০২২ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।
জর্ডান, আরব লীগ এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদির পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। এছাড়া আরব বিশ্ব, মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা ইয়েমেনের নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনে সকল পক্ষের সম্মতিতে গত শনিবার থেকে দুই মাসের যুদ্ধ বিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বিরতি শুরুর পাঁচদিন পরই ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট হাদি।
আরও পড়ুন: