আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনেও কি বিজেপিই জিতবে, নাকি আসবে নতুন কোনো দল কিংবা জোট? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। এদিকে আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
নির্বাচনের জটিল হিসেব-নিকাশ নিয়ে গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন ভারতের নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর।
নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসের উত্তর প্রদেশের নির্বাচনকে ফাইনালের আগে সেমি-ফাইনাল মানছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে যদি বিজেপি জিতেও যায়, তবু আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো অসম্ভব নয়। প্রশান্ত কিশোর আরও বলেছেন, তিনি এমন একটি বিরোধী দলীয় জোট গড়তে সাহায্য করতে চান, যে জোট আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে সক্ষম হবে।
বিজেপিকে আগামী নির্বাচনে হারানো সম্ভব বলে মনে করলেও বর্তমান বিরোধী দল ও নেতাদের নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রশান্ত কিশোর। তার মতে, হিন্দুত্ব, জাতীয়তাবাদ ও কল্যাণের সমন্বয়ে বিজেপি এক ‘দুর্দান্ত ধারা’ চালু করেছে। নির্বাচনে টেক্কা দিতে হলে এর মধ্যে অন্তত দুটিতে এগিয়ে যেতে হবে বিরোধীদের।
দেশের স্বার্থেই শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা জরুরি উল্লেখ করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থেই কংগ্রেসকে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না। বিজেপিকে হারাতে হলে কংগ্রেসের পুনর্গঠন দরকার।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, তেলিঙ্গানা, অন্ধ্র, তামিলনাড়ু আর কেরালার কথা ভাবুন। বিজেপি এসব রাজ্যে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও এই অঞ্চলের ২০০ লোকসভা আসনের মধ্যে তারা মাত্র ৫০টিতে জিততে পেরেছে। বাকি ৩৫০ আসনে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে লড়াই করছে তারা। কংগ্রেস বা তৃণমূল বা অন্য কোনো দল কিংবা এই দলগুলোর জোট যদি নিজেদের পুনর্গঠিত এবং যথেষ্ট তহবিল সংগ্রহ করে ওই ২০০ থেকে শ খানেক আসন জেতার চেষ্টা করে, তাহলে বিরোধীরা ২৫০-২৬০ আসন পর্যন্ত পৌঁছাতেও পারে। বিজেপিকে পরাজিত করে উত্তর ও পশ্চিমে আরও ১০০ আসন জেতা সম্ভব।