ভারতের এক যুবকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর এলাকার কোতোয়ালি থানার উৎকৃষ্টি বিদ্যালয় নামের একটি স্কুলে পড়ান ওই শিক্ষিকা। ওই স্কুলেরই সাবেক শিক্ষার্থী অভিযুক্ত যুবক। ব্যক্তিগত আক্রোশের এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই ছাত্রের নাম সূর্যাংশু।
পুলিশের তথ্যমতে, সোমবার স্থানীয় সময় সাড়ে তিনটার দিকে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যায় অভিযুক্ত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর দিকে পেট্রল ছুড়ে মেরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় ওই নারীর শরীর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গুরুতর দগ্ধ হলেও তা প্রাণঘাতী নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সূর্যাংশু নামের ওই যুবককে দুই বছর ধরে চিনতেন হামলার শিকার শিক্ষিকা। তাঁর প্রতি সূর্যাংশুর দুর্বলতা ছিল বলেও জানা গেছে। কিন্তু তাতে কখনোই সায় দেননি তিনি। গত বছর নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের জন্য স্কুল থেকে ওই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আবারও স্কুলে আসে অভিযুক্ত। পরে, উল্লিখিত শিক্ষিকার পরনের শাড়ি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন শিক্ষিকা। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায় সূর্যাংশু।
নরসিংহপুরের উপবিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিওপি) মনোজ গুপ্ত জানান, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষিকার পরিধেয় শাড়ি নিয়ে সুর্যাংশ অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। ওই ঘটনার পর শিক্ষিকা অভিযোগ দায়ের করলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। মনোজ গুপ্ত বলেন, ‘এটি একতরফা আসক্তি ও ব্যক্তিগত প্রতিশোধের ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পূর্ণাঙ্গ জবানবন্দি নেওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।