কংগ্রেসে যোগ দেবেন না প্রশান্ত কিশোর। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত চাউর হওয়ার পরপরই এ বিশিষ্ট ভোট ইঞ্জিনিয়ারের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। তবে তাঁর দেখানো পথ নিয়ে ১৩ থেকে ১৫ মে দলের চিন্তন শিবিরে আলোচনা হবে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দিক নির্দেশনায় পিকের ফর্মুলা গুরুত্ব পেতে পারে বলেও কংগ্রেস সূত্রে জানা যাচ্ছে।
তবে একই সঙ্গে চলছে পিকেকে আক্রমণের পালাও। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর মতে, দল ভাঙানোয় ওস্তাদ পিকে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, পিকের বদলে লোকসভা ভোটের ভার পাচ্ছেন আরেক ভোট ইঞ্জিনিয়ার এসকে (সুনীল কানুগোলু)।
গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় কংগ্রেস ভেঙে নিজেদের সংগঠন বিস্তারে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। অতিসম্প্রতি আসামেও সাবেক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরাকে দলে নিয়ে সংগঠন তৈরি করছেন তাঁরা। কংগ্রেসের একটি বড় অংশ মনে করেন, এই দল ভাঙার নেপথ্যে রয়েছেন পিকে।
তবে পিকের ভোট কৌশলের প্রতি কংগ্রেস নেতারা শ্রদ্ধাশীল। তিনি কংগ্রেসে যোগ না দিলেও প্রকাশ্যে শতাব্দী প্রাচীন দলটির সমালোচনা করেননি। বরং বলেছেন, কংগ্রেসের মতো দল তাঁকে সম্মান দেওয়ায় তিনি খুশি।
কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনা। দল ভাঙানোর পুরোনো অভিযোগ সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। পিকের সমালোচনা অবশ্য অন্য দল থেকেও আসছে। গোয়া তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কিরণ কান্ডোলকর দল ছাড়ার আগে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তাঁদের পরাজয়ের জন্য পিকেকেই দায়ী করেছেন।
এদিকে কংগ্রেস মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, পিকের বদলে তাঁরা এখন ভোট কৌশল ঠিক করার ভার দিতে চান পিকেরই এক সময়ের সহকর্মী এসকে বা সুনীল কানুগোলুকে। এরই মধ্যে কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের ভার দেওয়া হয়েছে তাঁকে।