হর্ষবর্ধন পাতিল। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র রাজ্যেরঅ্যাসেম্বলি নির্বাচনের আগে আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। পুনে জেলার ইন্দপুর থেকে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন আর নেই।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী ও সংখ্যালঘুদের ওপর দমন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। আর দমন পীড়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে বিজেপি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকেও ব্যবহার করছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বিরোধী দলের অনেকে মামলা, তদন্ত, হয়রানি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
এ অভিযোগ যে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, তার প্রমাণ দিলেন বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন পাতিল।
সাবেক এ কংগ্রেস নেতা গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, গেরুয়া দলে যোগ দেওয়ার পর নাকি তাঁর ভালো ঘুম হচ্ছে। কোনো তদন্তের প্যারা নাই!
সিবিআই, ইডি এবং এনসিবির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে বিরোধীদের শায়েস্তা করা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে- মহারাষ্ট্রের এনসিপি দলের প্রধান শারদ পাওয়ারের এমন মন্তব্যের এক দিন পরই হর্ষবর্ধন খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ এই মন্তব্য করলেন।
পুনের মাভাল জেলায় এক অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বসে ছিলেন হর্ষবর্ধন। বক্তৃতা করার সময় তাঁদের কাউকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমাদেরও বিজেপিতে যেতে হতো। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন কেন আমি বিজেপিতে গেছি। আমি তাঁকে বলেছি, কেন আমি বিজেপিতে গেছি সেটা আপনার নেতাকে জিজ্ঞেস করুন... (বিজেপিতে) সবকিছুই খুব সহজ সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে। কোনো তদন্তের ঝামেলা নেই, ফলে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আমার ভালো ঘুম হচ্ছে।