ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এটি আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু উড্ডয়ন করার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার মাত্র দুই ঘণ্টা আগে একই উড়োজাহাজে করে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন এক ব্যক্তি। আকাশ ভাস্তা নামে ওই ব্যক্তি এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করা ভিডিওতে ওই উড়োজাহাজটি সম্পর্কে জানিয়েছেন ভয়াবহ তথ্য। ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি যখন বিমানটিতে করে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে যাচ্ছিলেন, তখন এটির কোনো কিছুই কাজ করছিল না। এসি থেকে লাইট—সবই ছিল বন্ধ। এসি কাজ না করায় তাঁদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, যাত্রীরা সেখানে থাকা ম্যাগাজিন দিয়ে গায়ে বাতাস করছিলেন।
আকাশ ভাস্তার দাবি, তিনি ওই মুহূর্তের সবকিছু ভিডিও করে রেখেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি বিমানে সবকিছু অস্বাভাবিক দেখতে পাচ্ছি। বিমানের এসি কাজ করছে না এবং অনেক যাত্রী ম্যাগাজিন দিয়ে নিজেদের বাতাস করছেন। এমনকি টিভি স্ক্রিনও কাজ করছিল না। কোনো কিছু কাজ করছে না। লাইটও কাজ করছে না। এয়ার ইন্ডিয়া আপনারা কি আমাদের এই সেবাই দিচ্ছেন?’
ভিডিওতে তাঁকে ঘামতেও দেখা যায়। তিনি সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করে ফ্লাইটের বর্তমান পরিচালনা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং উৎপাদনকারী বোয়িংকে ট্যাগ করেছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে আকাশ ভাস্তা নামের এক্স হ্যান্ডলে প্রকাশিত ওই ভিডিওর সত্যাসত্য কোনো স্বাধীন সূত্রে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক্স অ্যাকাউন্টটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল কিন্তু সাড়া মেলেনি।
ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে অবতরণ করে। এরপর দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে এটি লন্ডনের গ্যাটউইকের দিকে রওনা দেয়। তখনই বিধ্বস্ত হয়।
এয়ার ইন্ডিয়া নিশ্চিত করেছে, বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন নিহত হয়েছেন। এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন। একমাত্র জীবিত ব্যক্তিটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক।