হোম > বিশ্ব > ভারত

প্রথমবারের মতো কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণায় যা বললেন

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কলকাতার রেসকোর্সে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করেছেন।

মমতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও বাংলার ভূমিকা কখনোই ভুলতে পারি না। যাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, তাঁদের কখনোই ভুলতে পারব না। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কী আমি জানি না। এই বিষয়ে কিছু বলাটা আমার পক্ষে ঠিক হবে না। বিষয়টা ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনার হাতে।’

সেনা সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিবছর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, কখনো তিনি এতে অংশগ্রহণ করেননি। তবে বাংলাদেশে অশান্তির আবহে এবার যোগ দিলেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। বিজয় দিবসের দিন বিশেষ অতিথি হয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং তাঁদের পরিজন মিলিয়ে ১৭ জনের এক প্রতিনিধিদল।

বাংলাদেশি প্রতিবেশীদের সামনে রেখেই মমতা বলেন, ‘ভারতীয় সেনা নিয়ে আমরা সব সময় গর্ব অনুভব করি। তারা সব সময় সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে। আমার মনে আছে, দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলাম। আমার বাবা স্বাধীনতাসংগ্রামী ছিলেন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। রোজই ভারত-চীন যুদ্ধের গল্প শোনাতেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে আমাদের সেনারা কীভাবে আত্মত্যাগ করেছিলেন। একইভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতেও তাঁরা আত্মত্যাগ করেন।’

মমতা বলেন, ‘আমরা বিজয় দিবসে স্মরণ করছি সেই শহীদদের, যাঁরা বৃহত্তর কারণে জীবন দিয়েছেন, কিন্তু কখনো হারেননি।’ বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা।’

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীও। দিনটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা। প্রতিবছরই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ফোর্ট উইলিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান হয় ইন্টার্ন কমান্ডের। ব্যতিক্রম ঘটল না এ বছরও।

বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন সকালে ফোর্ট উইলিয়ামের মূল ফটকের কাছে অবস্থিত বিজয় স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরী, সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাম চন্দ্র তিওয়ারিসহ দেশটির তিন বাহিনীর কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের তরফে শহীদ স্মৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম চৌধুরী এনডিসি (অব.) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুর রহমান। সব শেষে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস।

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা

কুয়াশার কারণে পশ্চিমবঙ্গের জনসভায় গেলেন না নরেন্দ্র মোদি

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি

অবসরের আগে ফরমায়েশি রায়, বিচারকদের অসততায় উদ্বিগ্ন ভারতের প্রধান বিচারপতি

মুসলিম স্ত্রীকে নিয়ে বিবাদ, ভারতে বাবা-মাকে মেরে খণ্ডিত দেহ নদীতে ফেলল ছেলে