ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরেও সরকার বিরোধী দলগুলোর মধ্যকার অনৈক্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। বুধবার দিল্লিতে বিরোধী দলগুলোকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজেদের মধ্যেকার বিরোধ ভুলে কংগ্রেস ও সিপিএমসহ বাম দলগুলো একত্র হলেও এই ঐক্যকে বয়কট করেছে একাধিক আঞ্চলিক দল। ফলে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ এক জোট থাকলেও বিরোধীরা পিছিয়ে রয়েছে নিজেদের ঐক্য প্রদর্শনে।
ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ার অথবা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নাতির ছেলে ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার কথা ভাবছিলেন বিরোধীরা। তবে শারদ পাওয়ার এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নাকচ করেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
আগামী ১৮ জুলাই ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির জাতীয় সংসদের সদস্যদের পাশাপাশি বিধায়কেরা ভোট দেবেন এই নির্বাচনে। ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচনের ভোট গণনা। তার আগে আগামী ২৯ জুন শেষ হচ্ছে মনোনয়ন দাখিল পর্ব। তাই দেশজুড়ে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে।
ভারতের সর্বমোট ৪ হাজার ৮০৯ জন জনপ্রতিনিধি অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। এদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই বিজেপি সমর্থক। তবু বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা হচ্ছে। বুধবারও দিল্লিতে মমতা দফায় দফায় বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি। তিন দিন ধরে রাহুল গান্ধী ব্যস্ত দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের জেরায়। এই অবস্থায় মমতার নেতৃত্বে বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা হচ্ছে। তবে তেলেঙ্গানার টিআরএস, উড়িশ্যার বিজেপি এবং দিল্লির আপ কংগ্রেসের সঙ্গে এক জোট না করার সিদ্ধান্তে অটল।