সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেপালে তরুণদের নেতৃত্বে সহিংস বিক্ষোভের জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিবেশী এই হিমালয়ের দেশটিতে জনরোষের মুখে গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন।
বিক্ষোভের ঢেউ যাতে ভারতের ভূখণ্ডে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, নেপালের উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সশস্ত্র সীমা বল পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
ভারত ও নেপালের মধ্যে ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে; যা উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, বিহার, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত। ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের নাগরিক ও পণ্যের অবাধ চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছিল।
তবে বর্তমানে উচ্চ সতর্কতার কারণে সীমান্ত পারাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরি জেলার গৌরিফাঁটা সীমান্তে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নেপালিদের ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তবে ভারতের নাগরিকেরা দেশে ফিরতে পারছেন। একইভাবে নেপালও ভারতীয়দের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। যদিও ভারতে থাকা নেপালের নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার পানিটাঙ্কি সীমান্ত শহর থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আংশিকভাবে বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে।
ওই এলাকার পুলিশ সুপার (এসপি) প্রবীণ প্রকাশ বলেন, ‘এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে এবং বাহিনী মোতায়েন আছে। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
একই সতর্কতা উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহারসহ ভারতের অন্যান্য নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায়ও জারি করা হয়েছে।