ভারতের সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সংসদে বিজেপির সদস্য বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাইপো, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।
বাবুলের আত্মপ্রকাশ গায়ক হিসেবে। ২০১৪ সালে বিজেপির হাত ধরে তিনি জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁকে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালেও আসানসোল কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি ফের মন্ত্রী হন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভোটে দাঁড়িয়ে পরাস্ত হন। কিছুদিন পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলে মন্ত্রিত্বও খোয়াতে হয় বাবুলকে। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন।
কিন্তু পরে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে লোকসভার সদস্য পদে বহাল থাকেন। তবে দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেই সুখকর ছিল না।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেক ওব্রায়েনের উপস্থিতিতে অভিষেকের হাত ধরে বাবুল যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ যোগদানের ছবিও পোস্ট করেন ডেরেক।
বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, বিজেপিতে কেউ থাকতে চাইছেন না। বহু লোক আগামী দিনে আমাদের দলে আসবেন না। বিজেপির কুতসার রাজনীতি, জনবিরোধী নীতিরই প্রতিফলন ঘটছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। জানান, বিজেপির বহু মানুষ তৃণমূলে আসতে চাইছেন। তৃণমূলে বাবুলের যোগদানে দল আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে বিজেপি বাবুলের দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ব্যক্তির দলত্যাগে তাঁদের কিছু ক্ষতি হওয়ার নয়। মানুষকে নিয়ে নীতির ভিত্তিতে দল করেন তাঁরা। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আসানসোলে বিজেপিই জিতবে বলে দাবি করেন শমীক। সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদ থেকে বাবুল সুপ্রিয়ের ইস্তফার দাবি করেন তিনি।