ভারতের ইতিহাস, নিউটনের মহাকর্ষ, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বা E=MC^2 সবই গুলিয়ে ফেলছে বিজেপি আর আরএসএসের লোকেরা। এবার ভারতীয়দের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় নিয়ে নতুন তত্ত্ব দিলেন ভারতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগত। ৪০ হাজার বছর ধরে নাকি সব ভারতীয়র ডিএনএ একই রকম আছে।
গত শনিবার ধর্মশালাতে সাবেক সেবকদের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এমন মন্তব্য করেন ভগত।
বক্তৃতায় মোহন ভগত বলেন, ‘কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ওপর সংঘের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘তাঁদের আলাদা নেতাকর্মী, নীতি এবং কর্মপদ্ধতি আছে। চিন্তা-ভাবনা ও সংস্কৃতি সংঘের এবং এটা কার্যকর। সরকারের প্রধান লোকেরা সংঘকে ধারণ করেন। সম্পর্কটা স্রেফ এ রকম। মিডিয়া যেরকম বলে, সরাসরি দূর নিয়ন্ত্রণ আছে, এমন কিছু নেই, এমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে সংঘের অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় সংঘের প্রায় এক হাজার সাবেক কর্মীর সম্মেলেন মোহন ভগত তাঁদের আরও বেশি করে সংঘকে জানার পরামর্শ দেন।
সমাবেশে বক্তৃতাদান কালে ভগত বলেন, ‘সরকারগুলো আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। সব সময়ই বিরোধিতা ছিল। সব বাধা অতিক্রম করে ৯৬ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে সংঘ। কারণ বহু স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থেকেছেন, তাঁরা অলস সময় কাটাননি। সমাজের জন্য যখনই কাজ করার দরকার পড়েছে, তাঁরা এসে হাজির হয়েছেন। স্বয়ংসেবকেরা প্রমাণ করেছেন, তাঁরা শুধু পার্লামেন্টই চালাতে পারেন না, তাঁরা সমাজের মানুষকে সঙ্গে নেন, তাঁরা স্বাধীন এবং সার্বভৌম।’
আরএসএস প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘সংঘ সমাজের জন্য নিরচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো প্রচার নেই, আর্থিক শক্তি নেই, না আছে কোনো সরকারি সহযোগিতা।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারতীয়দের ডিএনএ একই রকম।’ ভগত বলেন, ‘৪০ হাজার বছর আগে ভারতীয়দের সবার ডিএনএ একই রকম ছিল, যেমনটি এখনো একই রকম রয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষ এক। কারণ এই মহান পূর্বপুরুষদের কারণেই আমাদের দেশ মহিমান্বিত হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি প্রবাহমান।’