হোম > বিশ্ব > ভারত

ভারতে চুরি-ছিনতাইয়ের পর বাংলাদেশে পাচার, ৫০ লাখ রুপির ফোন উদ্ধার পুলিশের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

প্রতীকী ছবি

ভারতজুড়ে বাসযাত্রীদের কাছ থেকে পকেটমার, ছিনতাইকারী ও ডাকাতেরা যেসব মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়, সেগুলো সংগ্রহ করার একটি আন্তর্জাতিক চক্র আছে। সেই চক্র এই চোর-ডাকাতদের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠায়। কলকাতা থেকে সেগুলো বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এমনটাই দাবি করছে ভারতীয় পুলিশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ সম্প্রতি দিল্লি ও কলকাতা থেকে চোরাই মোবাইল ফোন চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ রুপিরও বেশি মূল্যের ২৯৪টি চোরাই ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, পকেটমার, ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের কাছ থেকে ফোন সংগ্রহ করত ওই চক্র। এরপর সেগুলো কলকাতায় পাঠাত। সেখান থেকে, ফোনগুলো ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাচার করা হতো। চক্রের একজন অভিযুক্ত, যে সীমান্ত এলাকায় থাকত, সে তার স্থানীয় পরিচিত এবং বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়দের সহায়তায় এই পাচারে সাহায্য করত।

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত ২৭ জুলাই চার অভিযুক্ত—দীনেশ (৫২), রিজওয়ান (৩৮), রবি (৩০) ও অজয়কে (৪১) ধরা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ৩৮টি ফোন উদ্ধার করা হয় এবং তাঁদের সবারই পূর্বে চুরিসংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অভিযুক্তরা জানান, চোরাই ফোনগুলো বিচিত্র (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে সরবরাহ করা হচ্ছিল। ৭ আগস্ট তাঁকে পাঁচটি মোবাইল ফোনসহ ধরা হয়।’ বিচিত্র পুলিশকে জানান, ফোনগুলো মোহাম্মদ মোজাহির (৩৬) সংগ্রহ করে কলকাতায় নিয়ে যেতেন। প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে মোজাহিরের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ জানতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ খালিদের (৫০) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি।

ডিসিপি চৌহান আরও জানান, ২১ আগস্ট কলকাতায় পাঠানো একটি দল খালিদকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি থেকে ৩০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি পুলিশকে জানান, ১২ আগস্ট তাঁর শেষ সফরের সময় তিনি মোজাহিরের কাছ থেকে ফোনগুলো নিয়েছিলেন। ২২ আগস্ট তাঁকে কলকাতার একটি আদালতে তোলা হলে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

আরও তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মোজাহির ও তাঁর সহযোগী শিবম কুমার ঝা (২২) প্রায়ই কলকাতায় যাতায়াত করতেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ আগস্ট তাঁদের দুজনকেই দিল্লিতে ধরা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ৭৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, খালিদ, মোজাহির ও শিবম খুব ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে কাজ করতেন। ইউপিআইয়ের মাধ্যমে একাধিক আর্থিক লেনদেন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, খালিদ গত কয়েক মাসে মোজাহিরের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার মোবাইল ফোন গ্রহণ করেছেন। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, মোজাহিরের দিল্লি এবং কলকাতা জুড়ে আটটি চুরিসংক্রান্ত মামলায় জড়িত থাকার পূর্ব রেকর্ড আছে। খালিদেরও কলকাতায় পূর্বের ঘটনায় জড়িত থাকার রেকর্ড আছে এবং শিবম দিল্লির একটি চুরি মামলার সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ আরও জানায়, খালিদের ফোনের ডিজিটাল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চোরাই মোবাইল ফোনগুলো তিনটি সক্রিয় বাংলাদেশি নম্বরে পাচার করা হতো। এই বিদেশি হ্যান্ডলারদের খুঁজে বের করতে এবং তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে।

বেঙ্গালুরুতে ‘বুলডোজার রাজ’: ৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ, তোপের মুখে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ফের উদ্বেগ জানাল ভারত

আতঙ্ক ও উত্তেজনার মধ্যে ভারতে বড়দিন ‘উদ্‌যাপন’

ওডিশায় পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম তরুণকে ‘বাংলাদেশি’ বলে পিটিয়ে হত্যা

‘বাংলাদেশি’ তকমায় এক বছরে ২২০০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

তাজমহল একসময় মন্দির ছিল—মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন বিতর্ক

বড়দিন ঘিরে খ্রিষ্টানদের ওপর চড়াও ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা, উত্তেজনা তুঙ্গে

মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’খ্যাত গণেশ উইকে এনকাউন্টারে নিহত

পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে ৩৫০০ কিমি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের