মিয়ানমারে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলাকালীন দেশটির ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা চিন রাজ্যের থান্তলাং শহরের বেশির ভাগ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় শহরটিতে বাস করা অন্তত ১০ হাজার মানুষের অধিকাংশই পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতের মিজোরাম রাজ্যসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারের জুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে আন্দোলন, ধর্মঘট এবং জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ। এর মধ্যেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
রয়টার্স জানায়, গত সপ্তাহে বিদ্রোহী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই চলাকালীন থান্তলাং শহরের প্রায় ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ছবি দেখা গেছে।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই শহরের একজন খ্রিষ্টান ধর্মযাজককে গুলি করে হত্যা করেছে সেনারা। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ধর্মযাজকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং ওই অঞ্চলের শতাধিক `সন্ত্রাসী’ সেনা সদস্যদের ওপর প্রথমে হামলা চালায় এবং পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।
থান্তলাং শহর থেকে পালিয়ে যারা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার আশায় রয়েছেন, তাদের বিষয়ে দিল্লি বা জান্তা সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে আশ্রয়প্রার্থীরা বর্তমানে দুর্বিষহ দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন সালাই থাং নামে থান্তলাং সম্প্রদায়ের এক নেতা।