শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মুর্শিদাবাদের বরঞ্চা আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল সোমবার রাতে ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের বহুল আলোচিত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তদন্ত এড়াতে এবং তথ্য গোপন করতে তিনি একাধিক মোবাইল ফোন নষ্ট করেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থাটির।
জীবনকৃষ্ণ সাহা এর আগেও ভারতের কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থার (সিবিআই) হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেল খাটেন। পরে জামিন পান।
পুনরায় এই বিধায়কের গ্রেপ্তার রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিরোধী দলগুলো বলতে শুরু করেছে, তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ আজ ‘প্রমাণিত’। বিজেপি, কংগ্রেস থেকে শুরু করে বামফ্রন্টও বিষয়টি নিয়ে সরব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জীবনকৃষ্ণের গ্রেপ্তার বিরোধীদের হাতে নতুন তুরুপের তাস। এর মধ্যে রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলমান। তৃণমূলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা তদন্তের মুখোমুখি।
এমন পরিস্থিতিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেপ্তার তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশকে ফের উত্তপ্ত করে তুলেছে তাঁর গ্রেপ্তার।