ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডা শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেন্টাল সার্জারি বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিলেন।
পুলিশ বলছে, ওই শিক্ষার্থী হলের যে কক্ষে থাকতেন, সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় কক্ষটিতে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া যায়, যাতে তিনি তাঁর বিভাগের এক পুরুষ ও এক নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
গ্রেটার নয়ডা পুলিশের ভাষ্য, মৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্প্রতি মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ দেখা যায়। যদিও এ নিয়ে তিনি কোথাও কোনো অভিযোগ জানাননি।
বিশ্ববিদ্যালয় হলে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের খবর জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল রাতেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
গ্রেটার নয়ডার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার আজ শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার আমরা খবর পাই। ফরেনসিক দলের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
‘আমরা একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছি, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই নোটে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে এবং দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মৃত শিক্ষার্থীর পরিবার ও সহপাঠীদের দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বলেও জানান তিনি।