ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এ সিরাপ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর এক সপ্তাহ পর আজ বুধবার এ সিরাপের উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল হরিয়ানা প্রশাসন। এনডিটিভি বলছে, তদন্তে সিরাপের উৎপাদনে বড় ধরনের অনিয়ম পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্র ও হরিয়ানা রাজ্য সরকারের ওষুধ বিভাগের যৌথ তদন্তের পর ওষুধ উৎপাদনে ১২টি ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিক ভাজ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, বর্তমানে তিনটি সিরাপের নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এখনো রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হরিয়ানার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসকে পাঠানো শোকজ নোটিশে ওষুধ তৈরি ও পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও যন্ত্রের লগ বুক তৈরি না করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সিরাপ তৈরিতে বিপজ্জনক রাসায়নিক ব্যবহারের কোনো উল্লেখ ছিল না।
এর আগে গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওই চারটি ব্র্যান্ডের কাশির সিরাপ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করে। সিরাপগুলো গত জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে কিডনি জটিলতা এবং শিশুদের মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানানো হয়।
সন্তান হারানো বাবা-মায়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, সিরাপ সেবনের পর তাঁদের বাচ্চা প্রস্রাব করা বন্ধ করে দেয়। অবস্থা দ্রুতই খারাপ হতে থাকে। বহু চেষ্টা করেও তাঁরা সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি।
যেসব সিরাপের ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলো হলো—প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। ভারতীয় কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস এই সিরাপগুলো তৈরি করে। ডব্লিউএইচও বলছে, কোম্পানিটি এসব ওষুধের ব্যাপারে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।