এভারেস্টের এমনকি বেসক্যাম্পে পৌঁছানোটাও খুব সহজ কাজ নয়। কিন্তু যদি বলি কনকনে ঠান্ডার মধ্যে আড়াই বছরের এক শিশু পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতচূড়ার এই বেসক্যাম্পে পৌঁছে গেছে, তাহলে নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে আপনার। অসম্ভবকে সম্ভব করা এই শিশুটির নাম সিদ্ধি মিশ্র। ভারতের ভূপাল শহরের বাসিন্দা সে।
মা ভাবনা দেহরিয়া ও বাবা মহিম মিশ্রর সঙ্গে ঋদ্ধি এভারেস্টের বেসক্যাম্পে পৌঁছে এই মাসের অর্থাৎ মার্চের ২২ তারিখ। পরিবারটি যে প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বেসক্যাম্পে গিয়েছে সেই এক্সপিডিশন হিমালয়ার দেওয়া সার্টিফিকেট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
উল্লেখ্য এক্সপিডিশন হিমালয়া এভারেস্টের বেসক্যাম্প ক্যাম্পসহ নেপালের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা একটি নামী এই প্রতিষ্ঠান।
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নবীন ত্রিতাল এক বিবৃতিতে বলেন, শিশুটি এবং তার বাবা-মা নেপালের লুকলা থেকে ১২ মার্চ যাত্রা শুরু করে এবং দশ দিন পর বেসক্যাম্পে পৌঁছায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিদ্ধি আড়াই বছর বয়সী প্রথম শিশু হিসেবে এক্সপিডিশন হিমালয়ার সঙ্গে এভারেস্ট বেসক্যাম্প ক্যাম্পে পৌঁছাল।’
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এভারেস্টের বেসক্যাম্পের অবস্থান সাগর সমতল থেকে ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার উচ্চতায়।
অবশ্য ছোট্ট সিদ্ধির রক্তেই আছে পর্বতারোহণ। তার মা ভাবনা ২০১৯ সালের ২২ মে এভারেস্ট জয় করেন।
‘এভারেস্ট বেসক্যাম্প ক্যাম্পে পৌঁছাটা যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ নয়। কিন্তু গিন্নি (সিদ্ধি) সত্যিই ভালোভাবে এটা করতে পেরেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রবল ইচ্ছাশক্তিও আগ্রহ দেখিয়েছে।’ বেসক্যাম্প থেকে কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর পর ফোনে পিটিআইকে বলেন ভাবনা।
ভাবনা বলেন, বেসক্যাম্প ক্যাম্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়গুলির একটি হলো দর্শকদের স্বাগত জানানো একটি সাইনবোর্ড। যেটিতে প্রথম এভারেস্টজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগের ছবি রয়েছে। এটি একটি গ্রাফিতি-ঢাকা পাথর, যা বছরের পর বছর ধরে বেসক্যাম্প ক্যাম্পে আগমনের আনুষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।