ঢাকা: টিকা গ্রহণ করলে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণকারী রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা ৮ শতাংশে নেমে আসে। গতকাল শুক্রবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়েছে।
ভারত সরকার বলছে, গত মে মাসের শুরুর দিকে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল, সেই সময়ের চেয়ে এখন দৈনিক করোনা শনাক্তের হার ৮৫ শতাংশের বেশি কমেছে। গত ১০ মে ভারতে এক দিনের হিসাবে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল। সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ভারতের ৫১৩ জেলায় করোনা শনাক্তের হার এখন ৫ শতাংশের কম।
সরকারের গঠন করা কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য ড. ভিনদ কে পল বলেন, সবাইকে টিকার আওতায় আনতে পারলে এটি হবে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তবে এখনই মাস্ক খুলে ফেলে আনন্দের সময় আসেনি। সতর্ক থাকতে হবে।
অধিকাংশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, চলতি বছর ভারতের টিকাদান কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটবে। তবে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এখনই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা সতর্ক করেছেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেসের (নিমহ্যানস) এপিডেমোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রদীপ বানানদুর বলেন, এখন কম বয়সীদের জন্য কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। তাই তাদের সংক্রমিত হওয়ার এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য এরই মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে। তবে কয়েকটি রাজ্যে টিকার স্বল্পতা রয়েছে। গত পাঁচ মাসে মহারাষ্ট্রের অর্ধকোটির বেশি মানুষ টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছে।