ভারতে আবারও করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সোমবার ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫২২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতজুড়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ জন। সংক্রমণের উচ্চ হারই আবারও চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে দেশটির নীতি নির্ধারকদের কপালে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মাত্রা বেশ উচ্চ হওয়ায় করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ বা ফোর্থ ওয়েভের আশঙ্কা কম। তারপরও, দেশটিতে করোনাভাইরাসের অতীত ইতিহাস খুবই ভয়াবহ হওয়ায় আশঙ্কা কমছে না নীতি নির্ধারকদের। এরই মধ্যে, মহারাষ্ট্র, কেরালা, উত্তর প্রদেশ, দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক। তবে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন। ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের দাবি, তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক চেহারা নিলেও চতুর্থ ঢেউ এলেও তেমন একটা উদ্বেগের কারণ নেই। কারণ সাধারণ মানুষ পর্যাপ্ত টিকা নেওয়ায় তাদের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে আগামী ২৭ এপ্রিল রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বর্তমানে, ভারতে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ৮৬ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এই ৩০ জনের মৃত্যুতে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ২২৩ জনে।