ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এমনটাই জার্মান নিরাপত্তা বাহিনীর। জার্মানির দাবি, পশ্চিমা অস্ত্রের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে যেসব ইউক্রেনীয় সৈন্য জার্মানিতে রয়েছে তাদের ওপর রাশিয়া গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছে এমন তথ্য রয়েছে তাদের কাছে।
জার্মানির সর্ববৃহৎ সংবাদ ওয়েবসাইট স্পাইজেল ম্যাগাজিনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএপির এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান নিরাপত্তা বাহিনী ইউক্রেনের সৈন্যরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এমন দুটি স্থাপনার আশপাশে বেশ কিছু সন্দেহভাজন গাড়ির চলাচল শনাক্ত করেছে।
কেবল তাইই নয়, জার্মানির দাবি—এই রাশিয়া এই দুটি স্থাপনায় নজরদারির জন্য ছোট আকারের ড্রোনও ব্যবহার করেছে। ড্রোনগুলোকে ঠিকমতো শনাক্ত করার আগেই সেগুলো দ্রুত উধাও হয়ে গেছে।
স্পাইজেল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ওই স্থান দুটির একটি হলো—জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাইনল্যান্ড প্যালাটিনেট রাজ্যের ইদার-ওবারস্টেইন। যেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ট্যাংক হাউইটজার ২০০০ এবং দ্বিতীয় স্থানটি হলো—ব্যাভারিয়ার গ্রাফেনউয়ার। যেখানে মার্কিন সেনাবাহিনী ইউক্রেনীয়দের পশ্চিমা আর্টিলারি সিস্টেম ব্যবহার করতে শেখাচ্ছে।
স্পাইজেলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জার্মান নিরাপত্তা বাহিনী আরও ধারণা করে যে—রাশিয়ার গোয়েন্দারা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের মোবাইল ফোনের ডেটা অ্যাকসেস করার জন্য স্ক্যানার ব্যবহার করেছিল।
এর আগে, রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে বিচারের মুখোমুখি করেছে জার্মানি। গত বছর, একটি জার্মান আদালত প্রকাশ্য দিবালোকে বার্লিনের একটি পার্কে একজন প্রাক্তন চেচেন কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা করার জন্য এক রুশ নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সেসময় আদালত জানিয়েছিলেন, এই হত্যার আদেশ মস্কো থেকে এসেছিল।
সর্বশেষ, জার্মান সেনাবাহিনীতে রিজার্ভ অফিসার হিসাবে কাজ করার সময় রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে একজন জার্মান ব্যক্তি বর্তমানে বিচারাধীন।