রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ধরে লড়ছে ইউক্রেন। সমরশক্তিতে প্রতিপক্ষের তুলনায় পিছিয়ে থাকা দেশটি ঘাঁটতি পূরণে নতুন সেনা নিয়োগ দিচ্ছিল, কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চলছে দুর্নীতির মচ্ছব। দুর্নীতির অভিযোগে এরই মধ্যে দেশটির আঞ্চলিক নিয়োগ বোর্ডের প্রধানদের বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—যে বা যারা রণক্ষেত্রে লড়তে চান না, ঘুষ নিয়ে তাঁদের রণক্ষেত্রে পাঠানোর থেকে বিরত থাকার অভিযোগ রয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক নিয়োগকেন্দ্রগুলোর প্রধানদের বিরুদ্ধে।
এমন এক সময়ে এই অভিযোগ এবং চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটল, যখন ইউক্রেনের জন্য প্রচুর নতুন সেনার প্রয়োজন। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার বিষয়টিকে জেলেনস্কি বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
শুক্রবার এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই সিস্টেম চালানোর জন্য এমন লোক দরকার, যারা আসলে জানেন যুদ্ধ কী এবং যুদ্ধের সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধার ও ঘুষ গ্রহণ কেন বিশ্বাসঘাতকতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা এরই মধ্যে রণক্ষেত্রে রয়েছেন, তাঁদের তো দীর্ঘ সময় ট্রেঞ্চে রাখা যাবে না। কারণ, তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কেউ তাঁদের কোনো অঙ্গ হারিয়েছেন। তার পরও তাঁরা নিজেদের সম্মান সমুন্নত রেখেছেন, স্বার্থবাদের কাছে মাথা নত করেননি। এমন লোকদের দিয়েই এই নিয়োগব্যবস্থা পরিচালনা করতে হবে।’
এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দেশজুড়ে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির মূলোৎপাটনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সম্প্রতিও তিনি একাধিকবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা এই প্রথম নয়। এর আগেই তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মন্ত্রিসভার সদস্য ভাসিল লজিনস্কিকে বরখাস্ত করেছিলেন।