‘ভাড়াটে সৈন্য’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করার অভিযোগে ২ ব্রিটিশ নাগরিকসহ ১ মরক্কান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দোনেৎস্কের একটি আদালত। তবে এই বিচারের ব্রিটিশ নাগরিকেরা কোনো আইনি সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি রিচার্ড ফুলার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া ওই তিন ব্যক্তি হলেন নটিংহামশায়ারের এডেন অ্যাসলিন (২৮), বেডফোর্ডশায়ারের শন পিনার (৪৮) ও মরক্কোর ব্রাহিম সাদোন। আদালতের রায়ে বলা হয়, এডেন অ্যাসলিন, শন পিনার ও ব্রাহিম সাদোন ‘গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক’-এর সাংবিধানিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
রিচার্ড ফুলার বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুই ব্রিটিশ নাগরিকের মানবাধিকার ‘দানবের মতো হরণ করা হয়েছে’ এবং তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মাধ্যমে যুদ্ধবন্দীদের চিকিৎসার জন্য জেনেভা কনভেনশনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত নিয়মের সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
দোনেৎস্কের আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শন পিনারের এলাকা বেডফোর্ডশায়ার থেকে নির্বাচিত এমপি রিচার্ড ফুলার। তিনি বলেছেন, এই বিচার দুই ব্রিটিশ নাগরিকের পক্ষে কোনো বৈধ আইনজীবী ছিল না। তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো—শন এবং এডেন ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রসের কোনো প্রতিনিধি সাক্ষাৎ করেছিলেন কিনা এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাধারণত এমন ঘটনার ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, আগে যারা ওই দুই ব্রিটিশ নাগরিকদের বন্দী করেছিল তাঁরা নিয়মিত তাদের পরিবারকে খবর জানাচ্ছিল। এবং পরিবার আশা করেছিল হয়তো বন্দী বিনিময় সম্ভব। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েক দিন আগে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রিচার্ড ফুলার আরও বলেন, দোনেৎস্ক অঞ্চলে যেসব মানবাধিকার সংগঠন এবং কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের ওই এলাকায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যাপারে আরও দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে।