রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে নতুন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন সীমান্তে আক্রমণ করবে না।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে মাখোঁ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা না করার ব্যাপারে রুশ সরকারের কাছ থেকে আমি আশ্বাস পেয়েছি।
রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে যে, ইউক্রেনে আক্রমণের ব্যাপারে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে দেশটি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সৈন্য মোতায়েন করেছে।
ইউক্রেন সংকট এড়াতে গত সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো গিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ঠিক এর পরদিনই ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়েভে যান ইমানুয়েল মাখোঁ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। দুই দেশের উত্তেজনা কমাতে একটি বাস্তব সমাধান আমি দেখতে পাচ্ছি।
এদিকে জেলেনস্কি উত্তেজনা কমাতে পুতিনকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মুখের কথায় বিশ্বাস করি না। প্রতিটি রাজনীতিবিদের কাজের মাধ্যমে স্বচ্ছতা দেখাবেন, আমি এমনটা বিশ্বাস করি।’
কিয়েভে বৈঠক শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বার্লিনে যান। সেখানে তিনি জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে জার্মানি ও পোল্যান্ডের সমর্থন আশা করেন ইমানুয়েল মাখোঁ।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়া ৭০ শতাংশ সৈন্যকে একত্রিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করছিল যে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। মস্কো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মস্কো যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কুলজের সঙ্গে আলোচনার পর বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে আক্রমণ করলে আমরা রাশিয়ার নর্ড স্ক্রিম-২ পাইপলাইন বন্ধ করে দেব।’