ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এই হামলার মাধ্যমে রাশিয়া শুধু ইউক্রেন নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমের শক্তিদের মাঝে চলমান অচলাবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে নিরাপত্তা জোট ন্যাটো। রাশিয়া চায়, ইউক্রেন ন্যাটো ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য না হোক। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, ইউক্রেন পশ্চিমাদের হাতের পুতুল। ইউক্রেনকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবেও মানতে নারাজ পুতিন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় এই জোট গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের (ইউএসএসআর) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মিত্ররা বৃহত্তর রাজনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে ন্যাটোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
ইউক্রেন ধারাবাহিকভাবে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এমনকি, এই আগ্রহের কথা তাদের সংবিধানেও উল্লেখ করা হয়েছে।
জোটে যোগ দিলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন হবে। ন্যাটোর প্রতিষ্ঠা চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আক্রমণকে সব মিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যার ফলে একে ওপরকে সুরক্ষিত রাখতে সদস্য রাষ্ট্ররা দায়বদ্ধ।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল ইউক্রেন। এর জন্য রাশিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে ইউক্রেনের মিল রয়েছে। ২০১৪ সালেও ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ওই সময় ইউক্রেনের রাশিয়ানপন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পুতিন হামলা চালায়। ওই হামলার সময় ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এবারও ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণ করেছেন পুতিন।