রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। সর্বশেষ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ৪টি গ্রাম পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি খেরসনেও বেশ কিছু জায়গায় রুশ বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করেছে দেশটি। ইউক্রেনীয় বাহিনীর এই অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতেই রাশিয়াকে তাড়িয়ে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্তি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তাঁর ভাষণে রাশিয়ার বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি জারি করে জানিয়েছেন, তাদের পালিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় চলে এসেছে এবং দখলকারীদের অবশ্যই জানা উচিত যে, আমরা অবশ্যই তাদের তাড়িয়ে সীমান্তে পৌঁছে দেব।’
তবে এই কাজটি যে সহজ হবে না তা স্বীকার করেছেন তাঁর এক উপদেষ্টা। জেলেনস্কির উপদেষ্টা অ্যালেক্সেই অ্যারেস্টোভিচ বলেছেন, ‘শত্রুদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার অপারেশনটি খুব একটা সহজ হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত হবে না। আমরা অবশ্যই আমাদের এলাকাগুলোতে আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমেই এই প্রক্রিয়া শেষ করব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে অ্যালেক্সেই অ্যারেস্টোভিচ বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী বেশ কয়েকটি সেক্টরে রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন ভেঙেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী দিনিপ্রো নদীর ফেরি ক্রসিং পয়েন্টে গোলা বর্ষণ করছে যা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
এর আগে গত সোমবার ইউক্রেনের একটি সামরিক সূত্র সিএনএনকে বলেছিল, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা চারটি গ্রাম—নভোদমিত্রিভকা, আরখানহেলকে, তোমিনা বলকা এবং প্রাভদাইনকে রাশিয়ার দখল থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। এখন তাদের মূল লক্ষ্য খেরসন শহর পুনরুদ্ধার করা।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিয়েভের অভিযান চালানোর কথা স্বীকার করলেও দাবি করেছে, ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের ‘প্রচেষ্টা’ সত্ত্বেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের অভিযান দুর্ঘটনার মাধ্যমে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।